মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং-ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় গুলো জানুন
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে কি ইনকাম করার চিন্তা করছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন ঘরে ঘরে ফ্রিল্যান্সার গড়ে উঠছে। আর ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রবেশ করার প্রথমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কথাটি শুনে থাকবেন নিশ্চয়ই। এর কারণ হলো আমাদের সমাজে কোন একটি বিষয়ে যদি কেউ অধিক সফলতা অর্জন করে তখন আমরা তার দিকে হুমরি খেয়ে পড়ি। ডিজিটাল মার্কেটিং ও ঠিক তেমনি একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করার চিন্তা করলেও সঠিক গাইডলাইন ব্যতীত শেষমেষ ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।
তবে যেহেতু আজকে আপনি আমাদের এই পোস্টে অভিহিত হয়েছেন সুতরাং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসেই নির্দিষ্ট ইনকাম করতে পারবেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে সকল কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে। সুতরাং মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে সকল তথ্য পেতে অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত একটি সিস্টেম হিসেবে বিবেচনা করা যায় যেখানে বিভিন্ন রকম বিপণন পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়। অফলাইনের মাধ্যমে আমরা সাধারণত গ্রাহকদের সাথে যে আউট রিচ গড়ে তুলি। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে যখন আপনি কোন কাস্টমারের সাথে পণ্য অথবা সার্ভিস বিক্রি করার উদ্দেশ্যে যে যোগাযোগ স্থাপন করবেন সেটি হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টারনেট এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন টুলস, ওয়েবসাইট এর ওপর নির্ভর করে পণ্য অথবা সেবার প্রচার প্রচারণা পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
বলাবাহুল্য যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য হল গ্রাহকদের সাথে একটি সম্পর্ক স্থাপন করা এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য অথবা সেবাগুলো প্রদান করা। তথ্য অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচার প্রচারণার কৌশল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো গুগল এডস (Google Ads) এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা। পাশাপাশি দেখবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচরণ করার সময় আমাদের সামনে অনেক সময় বিভিন্ন পণ্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন অটোমেটিক ভাবে চলে আসে। এটি সাধারণত একজন ডিজিটাল মার্কেটার পরিচালনা করেন এবং ক্যাম্পেইন সেটআপ করার মাধ্যমে আমাদের সামনে নিয়ে আসা হয়।
ঠিক তেমনি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার মাধ্যমেও পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো একটি অনবদ্য অংশ হলো ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে পণ্য অথবা সার্ভিস বিক্রি করা। আর ওয়েবসাইটগুলো গুগল সার্চ লিস্টে রান করানোর জন্য ব্যবহার করা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি অডিয়েন্সদের সাথে আউট রিচ করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর মত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারবেন না।
এর কারণ হলো ইমেইল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে কিছু এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হবে যা একমাত্র ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে সম্ভব। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে কিন্তু আপনি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন। আজকে আমরা এই বিষয়গুলোই পর্যায়ক্রমে জানার চেষ্টা করব।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় গুলো যদি জানতে চান তাহলে সর্ব প্রথমে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় কিনা সে সম্পর্কে জানতে হবে। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে মোবাইল দিয়ে শুধুমাত্র বেসিক লেভেলের কাজ করা যায়। অ্যাডভান্স লেভেল এর কাজগুলো করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের সাহায্যও নিতে হবে। খুশির সংবাদ হলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। কিন্তু এখানেও ১০০% মোবাইল দিয়ে ফলাফল আশা করা বোকামি হবে বলে আমরা মনে করি। অনেক সময় যদি সোশ্যাল মিডিয়ার চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে, প্রলোভিত হন।
তাহলে অনেক টাকা খোঁয়াতে পারেন। সুতরাং কোন আইটি সেন্টারে যদি ভর্তি হতে চান সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে মোবাইল দিয়ে তারা আপনাকে কোন ধরনের কাজ শেখাতে চাচ্ছে। অনেক আইটি সেন্টার রয়েছে যারা শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি, ফেসবুকে পেজ তৈরি এ ধরনের কাজ শিখিয়ে শুধু শুধু শিক্ষার্থীদের সময় এবং অর্থ নষ্ট করে। কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা শুধুমাত্র হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে সেটা ইউটিউবে আপলোড করেও, সেখান থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করেছে সেটা সত্য। তবে কেউ যদি দাবি করে যে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনের মত জটিল ধরনের কাজ।
মোবাইল দিয়ে করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে তাহলে অবশ্যই মিথ্যা বলে আমরা মনে করি। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশ গুলো পড়ে থাকেন আমরা সেখানে উল্লেখ করেছি যে ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা বা সেক্টর আছে। ধরুন আপনি মোবাইলে ফেসবুকে এড ক্যাম্পেইন রান করতে চাচ্ছেন। তাহলে সেখান থেকে সঠিক এবং টার্গেটকৃত অডিয়েন্স থেকে শুরু করে লোকেশন সেট করা এবং পরবর্তীতে রিপিটেড কাস্টমার কে রিটার্গেট করা এ সকল কাজ কি আদেও মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।
অবশ্যই এ ধরনের ক্রিটিকাল এবং জটিল কাজগুলো কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ দিয়ে করতে হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। তবে আপনি যদি চান কনটেন্ট ক্রিয়েশন এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং করার জন্য মোবাইলের সহায়তা নিতে পারেন। আর কনটেন্ট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিংয়েরই অনবদ্য একটি অংশ। আবার ভিডিও এডিটিং করে আপনি যদি কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মোবাইলের মাধ্যমে পাবলিশ করতে পারেন। তাহলে সেখান থেকেও সঠিক অডিয়েন্স জেনারেট করা সম্ভব। আশা করি আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় কিনা সেটির ও উত্তর গুলো পেয়ে গেছেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং পূর্বের সকল মার্কেটিং সিস্টেম এবং স্টার্টেজিগুলোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। আপনি দেখবেন পূর্বে যখন আমরা কোন একটি পণ্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচারণা করার কথা চিন্তা করেছি। ঠিক সে সময় দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার, ব্যানার লাগানো থেকে শুরু করে হাতে হাতে পণ্যের বিষয়বস্তু সংবলিত পেপার বিতরণের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু এ কাজগুলো ছিল সময় সাপেক্ষ এবং অনেক বেশি অর্থ খরচ হতো। পরবর্তীতে টিভি চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন পণ্য এবং সার্ভিসের বিজ্ঞাপন গুলো প্রচারণা করেও মানুষের কাছে রিচ করা যেত। কিন্তু সেক্ষেত্রেও সমস্যা হল একজন ছোট ব্যবসায়ী যে কিনা সবেমাত্র তার ব্যবসা শুরু করেছে।
তার পক্ষে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করানো কখনোই সম্ভব নয়। আর ঠিক তখন যুগের পরিবর্তনের সাথে বর্তমানে এসে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং নামটি শুনতে পাচ্ছি। এখন যে কেউ ছোট বড় ব্যবসায়ী চাইলেই একজন ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার করে তার কোম্পানির প্রচার প্রচারণা এবং সেল বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে। আর আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান তাহলে অবশ্যই কাজ পাওয়ার পূর্বে আপনাকে কাজ শিখতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত বিষয় এবং কৌশল গুলো হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গুগল এনালাইটিক্স, ইমেল মার্কেটিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আমরা দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি প্রথমটি হল ফ্রিতে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z শেখার জন্য ব্লগ পোস্ট এবং youtube এর সহায়তা নিতে পারি। অর্থাৎ আপনার হাতে থাকা মোবাইলে youtube এ বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এর ভিডিও গুলো দেখে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন। দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো ভালো মানের একটি আইটি সেন্টারে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করা।
ব্লগ পোস্ট এর মাধ্যমে শেখা
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অন্যতম ভালো একটি উপায় বা উৎস হতে পারে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট এবং আর্টিকেল পড়া। আপনি এই মুহূর্তে যদি আমাদের এই ব্লগ পোস্ট পড়ে থাকেন তাহলে এটি থেকে আপনি কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এরকম আপনি গুগলে সার্চ দিলে আরো বিভিন্ন ব্লগ এবং আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। শুধু মাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং নয় আপনি ফ্রিল্যান্সিং সহ যেকোনো অনলাইন ইনকাম রিলেটেড সকল কিছু ব্লগ পোস্ট এবং আর্টিকেলের মাধ্যমে শিখতে পারবেন। আমরা যেমন আমাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের তথ্য সংবলিত আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি।
ঠিক তেমনি আরো অনেকে রয়েছেন যারা তাদের অভিজ্ঞতাকে ব্লগ পোষ্ট আকারে তুলে ধরে। আপনি চাইলে তাদের পোস্টগুলো ফলো করে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক তথ্য পেতে পারেন। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর নাম তুলে ধরা হলো। যারা উচ্চমান সম্পন্ন ব্লগ এবং আর্টিকেল লিখে থাকে, যা নতুনদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে অনেক কাজে দেবে।
- Neil Patel
- HubSpot
- Moz
- Search Engine Journal
- Search Engine Land
- Rock Content
- Demand Gen Report
- MarketingCharts
- Content Marketing Institute
- CMSWire
ব্লগগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। সেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ট্রেন্ড এবং টুলস সম্পর্কে সকল কিছু জানানো হয়ে থাকে। তাই নিজেকে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আপডেট রাখার জন্য এ ধরনের ব্লগ পড়ার আবশ্যকতা অনেক। আর এজন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে আমরা ব্লগ পোস্ট এবং আর্টিকেল পড়ার সাজেস্ট করে থাকে। এছাড়াও ব্লগগুলোতে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব উদাহরণ প্রয়োগ করা থাকে যার ফলে আপনার শেখার যাত্রা আরো উন্নত হবে।
ইউটিউব টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে শেখা
আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে youtube এর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখাও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে নিতে পারেন। যদিও মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু কাজ করা সম্ভব। কিন্তু আপনি চাইলে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে ইউটিউব এর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এজন্য আপনার বাসায় অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরী। যেহেতু আপনি অনলাইন ইনকাম করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাই এ ধরনের অর্থ আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। যদিও বর্তমান সময়ে প্রায় সকলের বাড়িতেই ওয়াইফাই কানেকশন রয়েছে।
ব্লগ ওয়েবসাইট পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি আপনি ইউটিউব থেকেও পর্যাপ্ত তথ্য কালেকশন করতে পারছেন। আর এজন্যই এই প্লাটফর্মটি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অন্যতম একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। ইউটিউবের টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলোর মধ্যে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), কনটেন্ট মার্কেটিং, পেইড গুগল এডস, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ আরো অন্যান্য বিষয়ের টিউটোরিয়াল গুলো ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের টিউটোরিয়াল গুলো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটাররা তাদের চ্যানেলে আপলোড করে থাকেন।
আবার অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের ক্লাসের রেকর্ডের ভিডিও তাদের চ্যানেলে আপলোড করে। আপনি এ ধরনের সোর্স থেকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে অনেক কিছু শিখে ফেলতে পারবেন। ভিডিও দেখার সময় অবশ্যই আপনি প্লে লিস্ট ফলো করে ভিডিও দেখার চেষ্টা করবেন। প্লে লিস্ট গুলোতে ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে লাস্ট ক্লাসের সকল ভিডিও পর্যায়ক্রমে আপলোড দেওয়া থাকে।
ই-বুক পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা
ই-বুক পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা হতে পারে আপনার জন্য একটি ভালো সিদ্ধান্ত এবং ভালো একটি উপায়। এর কারণ হলো ই-বুক গুলোতে বিস্তারিতভাবে এবং পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, টুলস এবং প্রকৃত উদাহরণ দিয়ে পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z শেখার জন্য ই-বুক পড়েও অনেক তথ্য পেতে পারেন। যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রায়োগিক দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়ে থাকে। ই-বুক পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে আরও একটি সুবিধা হল আপনি আপনার ইচ্ছেমতো এবং সময়মতো করতে পারবেন।
আর এভাবেই স্বতন্ত্র শেখার মাধ্যমে আপনি আপনার কার্যক্রমটি সামনে এগিয়ে নিতে পারবেন। বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় মার্কেটার রয়েছেন যারা ই-বুক রাইট করে থাকেন। সেখানে তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো ই-বুক আকারে শেয়ার করেন, যার মাধ্যমে একজন বিগিনার বা নতুন ফ্রিল্যান্সার উপকৃত হয়ে থাকেন। এ ধরনের ই-বুকে সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এবং কনটেন্ট মার্কেটিং, কন্টেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। সুতরাং আমরা মনে করি ই-বুক পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা আপনার জন্য একটি সহায়ক ভূমিকা হিসেবে অবদান রাখতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে শেখা
আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত ফ্রিতে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করেছি। আপনি উপরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে উপায়গুলো আমরা তুলে ধরেছি সবগুলোই আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও দেখে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। এ ধরনের ফ্রিতে টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি সম্পূর্ণভাবে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে পারবেন না। তাই আপনার প্রয়োজন হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার জন্য ভালো মানের আইটি সেন্টার খুঁজে বের করা। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইটি সেন্টারগুলো শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে অক্ষম।
এর কারণ হতে পারে তারা নিজেরাই ফ্রিল্যান্সিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ততটাও অভিজ্ঞ নয়। তাই আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে চান সে ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে আপনাকে যাচাই-বাছাই করতে হবে যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের গাইডার গুলো কেমন। জানতে হবে পূর্বে তাদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অভিজ্ঞতা কত এবং তারা কতটা সফল। যদি পূর্বে তাদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে তারা সঠিক গাইডলাইন প্রদান করতে পারবে না। ভর্তি হওয়ার পূর্বে আপনি জেনে নিতে পারেন তাদের কোর্স মডিউল সম্পর্কে। সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং শেখানোর ক্ষেত্রে।
অবশ্যই তারা আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), কনটেন্ট মার্কেটিং পেইড মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এগুলো শেখানোর কথা বলবে। যদি তারা এ ধরনের কোর্স মডিউল তৈরি করে থাকে তাহলে তাদের আওতায় ভর্তি হওয়ার যাবে। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার ক্ষেত্রে কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম এবং বাংলাদেশের আইটি সেন্টারের নাম তুলে ধরা হলো যেগুলোতে আপনি ভর্তি হতে পারেন।
উপরে বর্ণনাকৃত ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার পরে আপনাকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। যেগুলো আপনার ভবিষ্যতে চাকরির ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে দেবে। কোট করার সময়কালীন আপনাকে অবশ্যই প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করতে হবে। অনেক ক্লাইন্ট এবং প্রতিষ্ঠান পেয়ে যাবেন যার আন্ডারে আপনি এ ধরনের মানসম্মত সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ভালো একটি জবের অফার পেতে পারেন, কেননা তারা এ ধরনের সার্টিফিকেটের উপর নির্ভর করে ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দেয়। সুতরাং কোর্স করার মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা উন্নত করবেন, যাতে করে আপনার ক্যারিয়ার সম্ভাবনাময় হিসেবে গড়ে ওঠে।
ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z
ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z বলতে সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলোকে বোঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ যতগুলো সেক্টর রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে এবং স্টাডি করতে হবে। আপনি উপরের অংশগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখবেন মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে যে সকল সেক্টরে কাজ করা যাবে সেটি আমরা উল্লেখ করেছি। পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে আমরা ব্লগ পোস্ট এবং ইউটিউব টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে বেসিক ধারণা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। এভাবে আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর যাত্রা হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে শুরু করতে পারেন।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরও একবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর সম্বন্ধে আমরা আলোচনা করব। মজার বিষয় হল ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল একটি সেক্টর কিন্তু আপনি চাইলে এখান থেকে যেকোনো একটি কাজে নিজেকে যদি দক্ষ করতে পারেন। তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকে প্রচুর কাজের অর্ডার পাওয়া সম্ভব। শুধুমাত্র যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে ব্যাকলিংস এর কাজ করেও মোটা টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। তবে এজন্য আপনাকে দিনরাত পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে আজকে থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন।
কালকে থেকে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে সেগুলো জানতে হবে এবং কমপক্ষে হাতে ৬ মাস সময় নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে। হতে পারে আপনি প্রথম ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z বা এর সেক্টর গুলোর তুলে ধরা হলো।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing)
- ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing)
- পেইড বিজ্ঞাপন বা অ্যাডভারটাইজিং (Paid Ads)
- কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- ভিডিও মার্কেটিং (Video Marketing)
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer Marketing)
সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে আপনি যদি উপরের একটি বিষয় নিয়ে কাজ করেন সেক্ষেত্রে সেই বিষয়ে ইউটিউব এবং গুগলে সার্চ দিতে হবে। সেখান থেকে টিউটোরিয়াল ভিডিও এবং ব্লগ পোস্টগুলো পড়ে আপনি প্রাথমিক পর্যায়ের সকল জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। অনেকে আছেন যারা শুধুমাত্র ইউটিউবের টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো দেখেও মার্কেটপ্লেস এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের অর্ডার পেয়েছে। তবে আপনি যদি মনে করেন আরো এডভান্স লেভেলের শিখতে চান। তাহলে উপরে বর্ণনাকৃত যে কোন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন।
আপনার লোকাল আইটি সেন্টারগুলো থেকেও কোর্স করতে পারবেন যদি সেখানে ভালো মানের গাইডার থাকে। আর মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আমরা উপরে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি। সেখান থেকে ফলোআপ করে আপনি মোবাইল দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজগুলো করতে পারবেন। আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ, সেক্টর, ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z যাই বলি না কেন এ বিষয়ে আপনাদের কোন আর কনফিউশন বা প্রশ্ন নেই। এরপরেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ বা ক্ষেত্র সমন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা সেটির সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জানার পাশাপাশি আরও একটি বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন হল ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে? আপনি যদি প্রথম থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ইচ্ছা পোষণ করেন সেক্ষেত্রে সময় অবশ্যই বেশি লাগবে। হতে পারে বেসিক লেভেল থেকে এডভান্স লেভেলে যাওয়ার জন্য আপনার কাছে সময় লাগতে পারে ১ বছর। আবার যারা প্রথম থেকেই এক্সপার্ট লেভেলের তারা ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারবে। মূলত সার্চ ইঞ্চিন অপটিমাইজেশন এ বিষয়টি শিখতেই ৬ মাসের মতো সময় লেগে যায়। সুতরাং বলা যেতে পারে আপনার দক্ষতা এবং শেখার উপর নির্ভর করবে।
তবে গড় হিসেব করলে দেখা যায় একজন স্টুডেন্ট ৬ মাসের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে মার্কেটপ্লেসে তার স্কিল সেল করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। সুতরাং আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান এবং এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে চান তাহলে অবশ্যই কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ১ বছর হাতে সময় নিয়ে আসবেন। এই সময়টাতে আপনি কোন রকম ক্লায়েন্ট পাবেন না বলে মনে করবেন। একটু সময় পর দেখবেন আপনি এত পরিমান ক্লায়েন্ট জেনারেট করতে পারছেন যে আপনি আর ঠিক মত খাওয়া-দাওয়া সময় পাচ্ছেন না। তাই আজ থেকেই লেগে পড়ুন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং যাত্রায়। আর প্রসারিত করুন আপনার স্কিল, দূর করুন বেকারত্ব।
লেখকের মন্তব্য
ফ্রিল্যান্সিং যেমন একটি অনেক বড় সেক্টর, ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং তার অভ্যন্তরে অনেক শাখা প্রশাখা নিয়ে গঠিত। একজন এক্সপার্ট লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটার ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হয়ে থাকে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z সম্পর্কে তার জ্ঞান থাকবে যার ফলে সে এক্সপার্ট হিসেবে অভিহিত হবে। আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর যাত্রা কে আরো একটু সামনে আগানোর জন্যই আজকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য ইনক্লুড করার চেষ্টা করেছি।
পাশাপাশি আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি তা আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং জার্নিকে আরো সুপ্রসারিত করবে বলে আমরা মনে করি। আজকের ডিজিটাল মার্কেটিং সংবলিত পোস্ট আপনার কাছে কতটা উপযুক্ত মনে হয়েছে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম রিলেটেড সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url