ফেসবুক মার্কেটিং a to z-মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং যেভাবে করবেন
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যদি কিছু ট্রিক্স ফলো করতে পারেন তাহলে ফেসবুক থেকে খুব ভালো একটি বিজনেস দাঁড় করানো যেতে পারে। বর্তমান সময়ে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণে পণ্য এবং সার্ভিসের বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হচ্ছে। আর এটি একমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং ফলো করার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু আপনার সামনে এডগুলো শো করানো হয়।
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ফেসবুক মার্কেটার হতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকে ব্যাপক পরিমাণে কাজের অর্ডার পেতে পারেন। অনেকেরই ইচ্ছা থাকলেও মোবাইল না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়টি সম্পর্কে আর ঘাটাঘাটির ইচ্ছা তৈরি হয় না। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করব। পাশাপাশি ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল এবং ফেসবুক মার্কেটিং a to z সকল বিষয়ে আপনাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ সকল ধরনের তথ্য প্রোভাইড করা হবে।
সুতরাং ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য যে অভিজ্ঞতাগুলো প্রয়োজন সে সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি পার্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ফেসবুক মার্কেটিং কি
ফেসবুক ফেসবুক মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম অংশ যা একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহার করে মার্কেটিং কার্যক্রমটি পরিচালনা করে থাকে। আপনি যদি নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে অবশ্যই ফেসবুক মার্কেটিং কি এ বিষয়টি সম্পর্কে সকল ধারণা রাখতে হবে। যদিও ফেসবুক ব্যতীত আরো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে যেমন গুগল, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডিন, এ ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করেও ডিজিটাল মার্কেটাররা তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন পরিচালনা করে থাকে।
তবে বর্তমান সময়ে অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম এর চাইতে ফেসবুক মার্কেটিং এ ব্যাপক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুকে মার্কেটিং করার অন্যতম একটি সুবিধা হল এখানে আপনার পণ্য অথবা সার্ভিস অনুযায়ী সকল ধরনের অডিয়েন্স পেয়ে যাবেন। যেহেতু বিশ্বের এটাই একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেখানে অধিক মানুষ যুক্ত রয়েছে। হিসেব বলছে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা তিন বিলিয়ন এরও বেশি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে পণ্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন গুলো খুব সহজেই কাঙ্খিত অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
পূর্বে ফেসবুক শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমান সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব ভালো একটি ভূমিকা পালন করছে। তাই আপনি যদি নিজেকে একজন ফেসবুক মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে বলে আমরা আশা করি। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ফেসবুক মার্কেটিং a to z সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আপনার কাছে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার না থাকে সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে এবং কোন বিষয়গুলো করা যায় সেটিও জানা উচিত।
ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার
ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ফেসবুক মার্কেটিং কি এই বিষয়টি জানা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার সেটিও জানতে হবে। অর্থাৎ ফেসবুক মার্কেটিং কত ভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে এই বিষয়টি মূলত এর প্রকারভেদ। আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করার আগে এর খুঁটিনাটি সকল বিষয়গুলো জানতে পারেন তাহলে অ্যাডভান্স লেভেলে যাওয়ার পরবর্তী সময় গুলো আপনার কাছে সহজ মনে হবে। কেননা এডভান্স লেভেলে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে নিজে থেকেই ক্রিয়েটিভিটি এবং মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।
আর এজন্য বেসিক জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী একটি বিষয়। ফেসবুক মার্কেটিং আসলে ২ প্রকার হয়ে থাকে। প্রথমটি হল অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এবং দ্বিতীয় টি হল পেইড বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং। যদিও পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়টিতে খুব একটা ভালো ফলাফল লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। হতে পারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের স্টার্টেজি পরিবর্তন করার পরিপেক্ষিতে এ বিষয়টি ঘটেছে। তারা লক্ষ্য করেছে অর্গানিকভাবে যদি ফেসবুক মার্কেটিং বিস্তার লাভ করে তাহলে তারা খুব একটা সুবিধা তৈরি করতে পারবেনা।
এজন্য তারা পেইড বিজ্ঞাপন ব্যতীত পণ্যগুলো দর্শকদের সামনে নিয়ে যাচ্ছে না। অতএব আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে অবশ্যই পেইড বিজ্ঞাপন অর্থাৎ ফেসবুকে এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা শিখতে হবে। তবে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে এবং আপনি যদি এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে চান সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে খুব একটা ফলাফল পাওয়া যাবে না।
অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং
অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার পণ্য অথবা সার্ভিস বিষয়ে তথ্য সংবলিত একটি পোস্ট ফেসবুকে পাবলিশ করে থাকেন। আপনার সেই পোষ্টের রিচ এবং এংগেজমেন্ট অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত দর্শকের নিকটে পোস্টগুলো প্রচার করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ আপনি একটি কলমের ফটো তুলে সেখানে সঠিক ক্যাপশন প্রদান করে যদি ফেসবুকে পাবলিশ করেন। পরবর্তীতে সেই কলমের পোস্ট বা বিজ্ঞাপনটি সঠিক দর্শকের কাছে পৌঁছায় তাহলে এই পুরো বিষয়টিকে বলা হচ্ছে অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং।
অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটি হল আপনার একটি নিজস্ব প্রফেশনাল মানের পেজ থাকবে যেখানে আপনি আপনার কনটেন্টগুলো পাবলিশ করে থাকেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে সেল জেনারেট হবে। দ্বিতীয়টি হল আপনার কনটেন্টের ক্যাটাগরি অথবা পণ্যের বিষয় বস্তুর উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট গ্রুপে কন্টেন্ট পাবলিশ করে সেখান থেকেও সেল জেনারেট করার বিষয়টিকে বলা হচ্ছে।
বর্তমানে অনেক মেম্বার সংবলিত গ্রুপ রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে ইনক্লুড করতে পারেন। তবে সেখান থেকে নামমাত্র কিছু কাস্টমার বা অডিয়েন্স হয়তোবা আপনি জেনারেট করতে সক্ষম হবেন। আর এজন্যই সকলে পেইড বিজ্ঞাপন এর দিকে বেশি পরিমাণে ইনভল্ব হচ্ছে।
পেইড বিজ্ঞাপন ফেসবুক মার্কেটিং
ফেসবুক মার্কেটিং a to z জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পেইড বিজ্ঞাপন ফেসবুক মার্কেটিং এ বিষয়টিতে এক্সপার্ট হতে হবে। আপনি যদি উপরের অংশগুলো পড়ে থাকেন সেখানে আমরা উল্লেখ করেছি যে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অর্গানিকের থেকে পেইড বিজ্ঞাপনে মানুষ বেশি ভরসা পাচ্ছে এবং ফলাফলও আশা অনুরূপ বেশি। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই ফেসবুকে এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে হবে। কিভাবে একটি এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করলে সেখান থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এবং সঠিক অডিয়েন্স এর কাছে বিজ্ঞাপন গুলো পৌঁছাবে সে বিষয়গুলোই জানতে হবে।
পেইড বিজ্ঞাপন হলো সাধারনত আপনার পোস্টটি বুষ্ট করা। পোস্ট বুস্ট করা হলো আপনি ফেসবুকে নির্দিষ্ট একটি অর্থ প্রদান করে আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিলেন। এখানে পোস্টগুলো বুষ্ট করার জন্য পরবর্তীতে আপনি আপনার কাঙ্খিত কাস্টমার গুলো পেয়ে যাবেন। যাদেরকে পরবর্তীতে আপনি আবার পুনরায় রি টার্গেট করতে পারবেন। লিড জেনারেশন করার জন্যই অনেকে ফেসবুক পেইড বিজ্ঞাপন সবচেয়ে বেশি করে থাকে। এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করলে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ লিড কালেক্ট করা যায় তাহলে পরবর্তীতে পুনরায় তাদেরকে টার্গেট করে বিজ্ঞাপন শো করা যাবে।
বিষয়টা আসলে এমন কাস্টমারের নিকট বারবার গিয়ে আপনার পণ্যের গুণগান গাওয়া এবং সেল বৃদ্ধির বিষয়টিকে বলা হচ্ছে রি টার্গেটিং। সুতরাং এ ধরনের রিটার্গেটিং কাস্টমার পাওয়ার জন্য এবং লিড কালেক্ট করার জন্য মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে আদেও কি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এটাই ভাববার বিষয়। কেন না Facebook অ্যাড ম্যানেজার মোবাইলে যে ধরনের তথ্য কালেক্ট করবে হয়তোবা ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে তার থেকে বেশি এবং স্পষ্ট আকারে লিট পাওয়া যেতে পারে।
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়টি ছিল মোবাইল দিয়ে কি ফেসবুক মার্কেটিং করা যায় কিনাএই সম্পর্কে। আমরা প্রথমেই কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছিলাম সেটি হল মোবাইল এর সাহায্যে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে কোন কাজগুলো আসলে মোবাইল দিয়ে করা যায়। যাদের কাছে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নেই কিন্তু ফেসবুক মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তারা মোবাইল দিয়ে কিভাবে এবং কোন কাজগুলো করতে পারবেন সেটাই মূল বিষয়। আমরা ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার এই বিষয়টিতে উল্লেখ করেছিলাম যে অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এবং পেইড বিজ্ঞাপন ফেসবুক মার্কেটিং।
মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে অর্গানিক মেথডগুলোই শুধুমাত্র ফলো করতে হবে। অর্থাৎ আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে সেটা খুব সহজেই মনিটর করতে পারবেন। পণ্যের ছবি তোলা থেকে শুরু করে সেটি ফেসবুক পেজে ক্যাপশন দিয়ে আপলোড করা সকল কাজগুলো আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারছেন। সেজন্য আপনাকে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার পাশাপাশি অবশ্যই একটি পেজ তৈরি করতে হবে। ফেসবুকে যে পেজটি তৈরি করবেন সেটি অবশ্যই একটি ইউনিক নেম দিয়ে তৈরি করতে হবে।
পাশাপাশি লোগো এবং কভার ফটো অবশ্যই প্রফেশনাল মানে হতে হবে। যেহেতু আপনি অর্গানিক মেথডটি ফলো করছেন সেহেতু নিয়মিত ফেসবুক পেজে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। আপনার কনটেন্ট এর ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রুপে অ্যাড হয়ে যাবেন এবং সেখানেও নিয়মিত পোস্ট করবেন। আর এ সকল কাজগুলো আপনি মোবাইল দিয়েই খুব সহজে করতে পারবেন। কিভাবে আপনি ফেসবুকে গ্রুপগুলোতে পোস্টের অ্যাপ্রুভাল পাবেন সেটি জানার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং a to z আইডিয়া আপনাকে নিতে হবে।
কোন ধরনের পোস্টগুলো গ্রুপে এলাও করা হয় এবং কোন ধরনের পোস্টগুলো এলাও করা হয় না সেটি জানতে হবে। অনেকে কমেন্ট সেকশন থেকেও কমেন্ট করে সেল জেনারেট করেন। কিন্তু আপনাকে হিসেব করে বিভিন্ন পোষ্টের নিচে কমেন্ট করতে হবে, কেননা অতিরিক্ত কমেন্ট করলে আপনার ফেসবুকের পেজ অথবা অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যেতে পারে। সুতরাং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং যদি আপনি করতে চান তাহলে অর্গানিক মেথড ফলো করার মাধ্যমে আপনি সেগুলো করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যখন পেইড বিজ্ঞাপন এর দ্বারা পণ্যের প্রমোশন করতে চাচ্ছেন তখন অবশ্যই ল্যাপটপ
অথবা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। কেননা একটি ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার জন্য পিক্সেল সেটাপ থেকে শুরু করে লোকেশন, ট্যাগ সহ আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটাপ করতে হয়। যা মোবাইল ডিভাইস দিয়ে করা কখনোই সম্ভব নয়। আপনি হয়তো বিভিন্ন আইটি সেন্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে শুধুমাত্র হাতের মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং করার জন্য কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। কিন্তু আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি প্রদান করছি, সেটি হল মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং করার জন্য আপনি শুধুমাত্র অর্গানিক মেথডেই সামনে এগোতে পারবেন। পরবর্তীতে অবশ্যই আপনাকে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের সাহায্য নিতে হবে।
ফেসবুক মার্কেটিং a to z
ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। কিন্তু অনেকের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে আমরা কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করব। ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য জানতে হবে। মার্কেটিং স্ট্রাটেজির প্রধান উপকরণ হলো পণ্য এবং সেবা প্রচার করার মন-মানসিকতা এবং স্কিল ডেভেলপ করা। আপনি যদি কাস্টমারকে কনভেন্স করতে পারেন তাহলে একটি প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সেল করতে। তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং করার ক্ষেত্রেও আপনাকে কাস্টমার কে কনভেন্স করার বিষয়টি রপ্ত করতে হবে।
কাস্টমার কি ধরনের প্রোডাক্ট আছে এবং তাদের চাহিদা আসলে কি সে সম্পর্কেও আপনাকে অবগত হতে হবে। কাস্টমারের প্রয়োজন এবং চাহিদা যেদিন আপনি ক্যাচাপ করতে পারবেন সেদিনই বুঝতে পারবেন আপনি ফেসবুক মার্কেটে সফল। তবে ফেসবুকে সফল হতে হলে আরো একটি বিষয় জানিয়ে রাখি সেটি হল মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার চাইতে অবশ্যই একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার দিয়ে শুরু করা উচিত। চলুন তাহলে আপনার নিজস্ব ব্যবসা অথবা ক্লায়েন্টের ব্যবসাকে আরও উন্নত করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং a to z এর কোন প্রসেস গুলো ফলো করতে পারেন সেটা জানব।
- ফেসবুকে মার্কেটিং করতে হলে এবং অর্গানিক উপায় অবলম্বন করতে হলে অবশ্যই একটি প্রফেশনাল মানের ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। পেজটি এমনভাবে ডেকোরেট করতে হবে যেন অডিয়েন্স দেখে আকর্ষণ বোধ করে।
- ফেসবুক মার্কেটিং এ আরো একটি অন্যতম সিক্রেট বিষয় হলো আপনার পণ্য অথবা সার্ভিস এর ক্যাটাগরি অনুযায়ী অডিয়েন্স টার্গেট করা। আপনি যদি আপনার কাঙ্ক্ষিত অডিয়েন্সগুলোকে টার্গেট করতে পারেন এবং পরবর্তীতে পুনরায় রি টার্গেট করতে পারেন তাহলে অবশ্যই প্রোডাক্টের সেল বৃদ্ধি পাবে।
- আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন তৈরি করার জন্য ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং লাইভ স্ট্রিমিং এর সহায়তা নিতে পারেন। কনটেন্ট তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সেখানে ক্রিয়েটিভিটি ফুটে ওঠার পাশাপাশি কনটেন্টের ডিটেলস বিষয়বস্তু উপস্থাপিত হয়।
- অর্গানিক মেথড এ পণ্য বিক্রি করতে চাইলে অবশ্যই সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট গ্রুপগুলোতে এড হতে হবে এবং সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে পোস্ট লিখে গ্রুপে পাবলিশ করতে হবে। অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু লিখলে এডমিন পোস্টগুলো অ্যাপ্রুভাল দেবে না।
- যেহেতু পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অর্গানিক মেথড খুব একটা ভালো কাজ করছে না এজন্য অর্গানিক মেথড এর পাশাপাশি পেইড ফেসবুক বিজ্ঞাপন সম্পর্কেও জানতে হবে। কিভাবে অ্যাড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করলে অধিক বিক্রি এবং পণ্যের প্রচার হবে সে সম্পর্কে নিজেকে এক্সপার্ট করতে হবে।
- গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। যদি তারা মেসেঞ্জারে আপনাকে নক দেয় এবং প্রোডাক্টের ডিটেলস সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে অতি দ্রুততার সঙ্গে তাদের সাথে কমিউনিকেশন করুন। তাদেরকে কনভেন্স করতে পারলেই আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসটি বিক্রি হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি সেক্টর ফেসবুক মার্কেটিং সেটি আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং এর শুধুমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং যদি আপনি শিখেন তাহলে ফাইবার, আপ ওয়ার্ক এর মত জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের অর্ডার পেয়ে যাবেন। একটি ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার পারিশ্রমিক ধরা হয় কমপক্ষে ১০০ ডলার। তাহলে বুঝতে পারছেন যে ফেসবুক মার্কেটিং এর ডিমান্ড আসলে কত। আপনি যদি চান নিজের ব্যবসা ও এড ক্যাম্পেইন শেখার মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন।
তবে প্রফেশনাল মানের কাজ করার জন্য মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং হয়তোবা বিভিন্ন ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন। কিন্তু অ্যাড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের দরকার হবে।
ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল
ফেসবুক মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করার অন্যতম একটি স্ট্রাটেজি বা উপায় হলো ফেসবুক মার্কেটিং a to z এক্সপার্ট হওয়া। পাশাপাশি ফেসবুক মার্কেটিং এর সকল ধরনের কৌশল গুলো রপ্ত করা। যেহেতু ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য আপনি আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসের সকল ধরনের অডিয়েন্স খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছেন। সেহেতু আপনি আপনার কৌশল গুলো যদি কাজে লাগাতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
নিজের ব্যবসা ব্যতীত শুধুমাত্র যদি আপনি ক্লায়েন্টের কাজও করতে চান সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বলুন তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল গুলো কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
ফেসবুক পেজ তৈরি
আমরা প্রথমেই আর্টিকেলের একটি অংশে উল্লেখ করেছিলাম যে অর্গানিক উপায়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি আকর্ষণীয় ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। ফেসবুকের পেজটিতে আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইল পিকচার না দিয়ে আপনার কোম্পানির নামের একটি লোগো দিতে পারেন। পাশাপাশি সুন্দর একটি কভার ফটো প্রোভাইড করবেন যেটা দেখলে কাস্টমার আকর্ষণ বোধ করবে। প্রথম অবস্থায় অবশ্যই সেখান থেকে অধিক ফলাফল অর্থাৎ সেল আসবেনা।
অর্গানিক মেথড ফলো করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি সময় অপেক্ষা করতে হবে। ধৈর্য ধরে নিয়মিতভাবে পোস্ট করুন এক সময় দেখবেন আপনার পেজ থেকেও অনেক অনেক ফলোয়ার গেইন হওয়ার পাশাপাশি সেল বৃদ্ধি হয়েছে।
টার্গেটেড অডিয়েন্স
অর্গানিক মেথড হোক অথবা পেইড বিজ্ঞাপন, আপনাকে অবশ্যই টার্গেটেড অডিয়েন্স ক্যাচাপ করা শিখতে হবে। আপনার অডিয়েন্স বা গ্রাহকরা কি চাচ্ছে তাদের চাহিদা কি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। বিষয়টা এমন নয় যে আপনি একটা প্রোডাক্ট নিয়ে মাঠে নামলেন আর সেটি রাতারাতি বিক্রি হওয়া শুরু হবে। যদি দেখেন আপনার প্রোডাক্টটি মার্কেটে চলছে না অর্থাৎ কাস্টমারের কোন চাহিদা নেই। এক্ষেত্রে নতুন কোন প্রোডাক্ট নিয়ে রিসার্চ করতে হবে এবং সেটি বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে।
যদি পেইড বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে লিড জেনারেট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে তাদেরকে পুনরায় টার্গেট করে বিজ্ঞাপন শো করতে পারেন। আবার অর্গানিক মেথড অনুযায়ী আপনার পোস্টে যারা লাইক কমেন্ট করেছে তারাই মূলত আপনার রি টার্গেটিং কাস্টমার। তাদেরকে মেসেজ অথবা ট্যাগ করে পোস্ট সম্পর্কে পুনরায় জানানোর চেষ্টা করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনি এ ধরনের অর্গানিক মেথডে পোস্ট এর লাইক কমেন্ট সেকশন থেকে কাস্টমার রি টার্গেটিং করতে পারেন।
কনটেন্ট তৈরি
আমরা অনেকেই জানি ইংরেজিতে একটি কথোপকথন রয়েছে সেটি হল “কনটেন্ট ইজ কিং”। আপনার কনটেন্ট যদি ভাল হয় তাহলে অবশ্যই সেখানে কাস্টমার জেনারেট করা সম্ভব। আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসের কনটেন্ট গুলো আকর্ষণীয় এবং মানসম্মত হিসেবে করে যদি পোস্ট করেন সে ক্ষেত্রে অর্গানিকভাবেও অনেক সেল আনা সম্ভব। পন্যের বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ও তথ্য এবং সঠিক বিষয়বস্তুগুলো প্রদান করার চেষ্টা করতে হবে। যাতে করে খুব সহজেই আপনার অডিয়েন্সগুলো পন্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে এবং তাদের প্রয়োজনগুলো বুঝতে পারে।
তবে আপনি যদি মনে করেন যে আজকে আপনি একটি কন্টেন্ট পাবলিশ করলেন কালকে থেকে এই সেল শুরু হয়ে যাবে তাহলে বিষয়টি ভুল। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে নিয়মিত পোস্ট করাও ফেসবুক মার্কেটিং এর সফল হওয়ার অন্যতম একটি বিষয়।
নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করা
ফেসবুক মার্কেটিং a to z এই বিষয়টিতে অনেকে শুধুমাত্র পেইড বিজ্ঞাপনকেই সাজেস্ট করে থাকে। যদিও অর্গানিক এর চাইতে পেইড বিজ্ঞাপনের ফলাফল সবসময় বেশি থাকবে। কিন্তু আমরা সাজেস্ট করি যে আপনি পেইড বিজ্ঞাপন করার আগে অবশ্যই নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করুন আপনার পেজটিতে। যদি এক সময় দেখেন আপনার পেজে অর্গানিকভাবে নিয়মিত রিচ এবং এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে দেখা যাবে পেইড বিজ্ঞাপনে থেকে আপনি এখান থেকে বেশি মুনাফা করতে পারবেন। যেমন ধরুন পেইড বিজ্ঞাপনে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে
প্রদান করতে হচ্ছে। তাহলে সেই অর্থটি অবশ্যই আপনার মুনাফার সাথে মাইনাস হবে। কিন্তু ফ্রিতে অর্গানিক উপায়ে যদি আপনার মার্কেটিং বিষয়টি সফলতা অর্জন করে তাহলে লভ্যাংশ পুরোটাই আপনার থেকে যাচ্ছে। আর এই বিষয়টিতে সাকসেস হতে হলে একমাত্র উপায় হল আপনার ফেসবুক পেজে নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করা।
ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার
কনটেন্টের কোয়ালিটি ভালো হওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত পোস্ট করা ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি এ ধরনের অর্গানিক পোস্টগুলো করার ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়ে যাবেন। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে থেকে মোবাইল দিয়ে আপনি আপনার ফেসবুক গ্রুপে কনটেন্ট সম্পর্কে আপনার অডিয়েন্সকে জানান দিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সর্ব প্রথমে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ক্যাটাগরি অনুযায়ী নির্দিষ্ট গ্রুপগুলোতে জয়েন হতে হবে।
ফেসবুক গ্রুপে আপনার বিষয়টি পোস্ট করার ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখুন। অসামঞ্জস্য কিছু পোস্ট করতে চাইলে অবশ্যই গ্রুপের এডমিন সেটাতে অ্যাপ্রভাল দেবে না। সুতরাং এক্ষেত্রে এডমিনের সঙ্গেও আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স
ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য কোন স্ট্যাটেজিগুলো ফলো করা উচিত তা আমরা ধাপে ধাপে জানার চেষ্টা করেছি। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং আমরা কিভাবে শিখতে পারি। ফেসবুক মার্কেটিং শেখার জন্য আপনারা ভালো মানের আইটি সেন্টারগুলোতে ভর্তি হতে পারেন। তবে আমরা সাজেস্ট করব কোর্সে ভর্তি হওয়ার পূর্বে আপনি ইউটিউবের টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো দেখে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এর কারণ হলো বেসিক জিনিসপত্র যদি আপনি আগেই জেনে যান তাহলে কোর্স করার সময়ে আপনার সেই সকল বিষয়গুলো খুব সহজেই মাথায় ঢুকে যাবে।
ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করার ক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক আইটি সেন্টার রয়েছে যারা বিভিন্ন রকম চটকদার বিজ্ঞাপন প্রদান করে যেমন মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে অমুক ব্যক্তি ইনকাম করলেন লক্ষ টাকা। অমুক ব্যক্তি ফেসবুক মার্কেটিং এ সফল হয়ে কিনলেন কোটি টাকার গাড়ি। এ ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা না দিয়ে সর্বপ্রথমে ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং ফেসবুক মার্কেটিং a to z বেসিক নলেজ সম্পর্কে ধারণা তৈরি করুন।
তবে কিছু আইটি সেন্টার বা একাডেমি রয়েছে যারা খুব ভালো মানের ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স প্রোভাইড করে থাকে। আপনি এ ধরনের স্বনামধন্য আইটি সেন্টারগুলোতে ভর্তি হয়ে ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। নিচে তাদের নামগুলো তুলে ধরা হলো। আমরা এখানে স্টুডেন্টদের সাকসেস হিস্টোরি গুলো ফলো করার মাধ্যমেই তাদের তালিকা গুলো প্রদান করছি। আপনারা ভর্তি হওয়ার পূর্বে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন।
- 10 Minute School
- Creative IT
- Mos IT BD
- Gudi Learning
- eShikhon
- Bohubrihi
- MSB Academy
- SR Dream IT
লেখকের মন্তব্য
ফেসবুক মার্কেটিং শিখে শুধুমাত্র যে আপনি ক্লায়েন্টের কাজ করবেন বিষয়টি আসলে তা নয়। আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রমোশন করা থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট সেল সকল কিছুই এ ধরনের কাজ শিখে করতে পারেন। অনেকে মনে করেন যে আপনি মার্কেটিং শিখে শুধুমাত্র মানুষের কাজ করবেন। কিন্তু আপনি যদি সেখানে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন তাহলে অন্যের কাজ করা চাইতে নিজের ভ্যালুগুলো প্রোভাইড করতে পারছেন। অনেকের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে কাজ শেখার ইচ্ছা থাকলেও সেটি আর হয়ে ওঠে না।
তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে আপনাকে কোন কোন বিষয়গুলো জানতে হবে সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা তথ্য প্রদান করেছি যে মোবাইল দিয়ে আসলে ফেসবুক মার্কেটিং এর কোন বিষয়গুলো করা যাবে। আপনি চাইলে উপরের অংশগুলো পুনরায় পড়ে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফেসবুক মার্কেটিং এ যদি আপনি একজন সফল ব্যক্তি হতে চান তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং a to z ধারণা নিয়েই কেবল মাঠে নামতে হবে।
তা না হলে আপনি মাঝপথে এসে ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন। আপনার ফেসবুক মার্কেটিং এর জার্নিকে আরো একধাপ উন্নীত করতেই আজকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। পোস্ট এর বিষয়বস্তুগুলো আপনার কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না এবং এ ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ আরো পোস্টগুলো পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url