অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ও অনলাইনে ইনকাম করার apps

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে যদি আপনি সঠিক ধারণা নিতে পারেন তাহলে চাকরির থেকেও অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমরা বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে খবর দেখে থাকি, সেখানে উল্লেখ করা হয় অনেকেই আজকাল অনলাইনে ইনকাম করে লাখপতি বনে যাচ্ছে। হয়তো কোন এক সময় আপনারও মনে হতে পারে যদি আপনি অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ পেতেন তাহলে কতই না ভালো হতো। 
অনলাইনে-ইনকাম-করার-উপায়
ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় সঠিক গাইডলাইন বা পদ্ধতি গুলো না জানার পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ আর তৈরি হয় না। তবে বলে রাখি চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এবং কিভাবে অনলাইন থেকে সৎ পথে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আলোচ্য বিষয়টি বাদে আপনারা আরও যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এবং মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে। 

সুতরাং অনলাইনে ইনকাম করার apps এবং অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি অংশ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কেননা আপনি যদি আর্টিকেলের কোন একটি অংশ স্কিপ করে চলে যান সে ক্ষেত্রে মূল্যবান তথ্য হতে বঞ্চিত হতে পারেন।
পোস্ট সূচিপত্র

অনলাইন ইনকাম কি?

অনলাইন ইনকাম সাধারণত অনলাইনের প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল ধরনের কাজ করে ইনকাম করার বিষয়টিকে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ আপনি যদি অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা রোজগার করেন তাকেই অনলাইন ইনকাম বলা হবে। আপনি পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়টি লক্ষ্য করলে দেখবেন সবকিছুই এখন অনলাইন ভিত্তিক হতে চলেছে। ঘরে বসেই নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট অর্ডার করা থেকে শুরু করে আপনার যদি কোন খাবার খেতে মন চায় সেটিও অনলাইন এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্ডার করতে পারবেন। 

আর ঘরে বসেই আপনি অনলাইনে সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারছেন। এ ধরনের সুবিধাগুলো প্রোভাইড করার জন্যই বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান কর্মচারী হায়ার করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ কোন একটি খাবারের কোম্পানি রয়েছে যারা বাড়িতে খাবারের হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকে। তাহলে তার খাবারের মার্কেটিং করার জন্য এবং খাবারের ছবি তৈরি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটারসহ একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন হবে। আবার সে যদি চায় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার খাবার সম্পর্কে সকলের কাছে প্রচার প্রচারণা সহ বিক্রি করতে চাই সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পড়বে একজন ওয়েব ডেভলপারের। 
তাহলে ছোট্ট এই একটি উদাহরণ থেকে এটাই স্পষ্ট যে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য অনেক অনেক কাজের প্রকারভেদ রয়েছে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলো সাধারণত তরুণ প্রজন্মরা বেশি খুজে থাকে। যেহেতু ঘরে বসেই এ ধরনের কাজ করার সুযোগ থাকে তাই তারা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন ইনকাম করার প্রবণতা বেশি দেখায়। কিন্তু অনলাইনে ইনকাম করার apps গুলো সম্পর্কে না জানার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই আর সামনে এগোতে পারে না। তাই চলুন আজকে অনলাইন ইনকাম রিলেটেড সকল ধরনের কাজ পর্যালোচনা করা যাক।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

যেহেতু বর্তমান সময়ে সকল কিছুই অনলাইন প্লাটফর্মের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই আপনি যদি অনলাইন ইনকাম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং এখানে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে অবশ্যই সেটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। কেননা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে যেমন অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো আপডেট হবে ঠিক তেমনি আপনি করতে পারবেন একটি সুদৃঢ় অনলাইন ক্যারিয়ার। অনলাইনে ইনকাম করার বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি আপনি স্পষ্ট ধারণা পান তাহলে ঘরে বসেই দেশের বাইরের কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব। শুধু প্রয়োজন হবে কাজগুলো সম্পর্কে আপনাকে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা। 

পূর্বে ঘরে বসে ইনকাম করার বিষয়টি সকলের কাছে একটি স্বপ্নের বিষয় ছিল। অনেকে এই বিষয়গুলোকে ফেক হিসেবে ধরে থাকেন এবং মনে করেছিলেন যে কখনোই অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই এখন এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। শুধুমাত্র আপনি যদি আপনার দক্ষতা এবং ধৈর্যকে কাজে লাগান তাহলে একটি সময় অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। অনেকে রয়েছেন যারা প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করেন এবং দারুণ একটি লাইফ স্টাইল লিড করতে পারছেন। তাই আপনিও যদি এ ধরনের ক্যারিয়ার ঘটতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের অংশগুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিকে আমরা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে সবচেয়ে প্রথমে রেখেছি। এর কারণ হলো যখনই কারো অনলাইন ইনকামের বিষয়টি সামনে আসে তখন অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করার বিষয়টি চলে আসে। হতে পারে আপনি নিউজ চ্যানেলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি সম্পর্কে অনেক বেশি শুনেছেন এবং জেনেছেন। যার ফলে হয়তো অনলাইনে ইনকাম রিলেটেড সকল ধরনের প্রশ্নে প্রথমেই ফ্রিল্যান্সিং কথাটি চলে আসে। ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি মুক্ত পেশা যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর একটি অনেক বড় শাখা-প্রশাখা নিয়ে গঠিত। যেখানে অগণিত কাজের প্রকারভেদ এবং সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটি বিষয়ে যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা সহজ হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো এখানে আপনি ছোট ছোট মাইক্রো জব করেও আপনার পড়াশুনার খরচ চালাতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি খোঁজ নিলে দেখবেন এখানে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইনকামের কাজের সুযোগ রয়েছে। 

তাই আমরা মনে করি ক্যারিয়ার হিসেবে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে বেছে নিতে চান তাহলে অবশ্যই সেটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ থাকে। টেক ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের কাজ যেমন চাহিদা সম্পন্ন ঠিক তেমনি এখানে ভালো অ্যামাউন্টের স্যালারি জেনারেট করা সম্ভব। চলুন ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জন্য কোন ধরনের কাজ করা যেতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)
  • ওয়েব ডিজাইন (Web Design)
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development)
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (App Development)
  • ভিডিও এডিটিং (Video Editing)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)
  • কনটেন্ট ক্রিয়েশন (Content Creation)

ইউটিউব থেকে ইনকাম

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে আমরা ইউটিউবকে অবশ্যই সাজেস্ট করব। পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করার apps গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন ইউটিউব থেকে অনেকে তাদের ক্যারিয়ার এমনভাবে গড়েছে যে তাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অনেক গরিব ঘর থেকে বিলং করা ব্যক্তিও আজ ইউটিউবিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। উদাহরণস্বরূপ ইন্ডিয়াতে একজন ট্রাক ড্রাইভার শুধুমাত্র তার ভ্লগিং ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। 

তাই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য ইউটিউব হতে পারে একটি অন্যতম মাধ্যম। ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে সাধারণত আপনি শিক্ষা, প্রযুক্তি, ফানি ভিডিও, রান্নার রেসিপি, রিভিউ সহ আরো অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ভিডিও তৈরি এবং আপলোড করতে পারবেন। এখন আপনি যে ক্যাটাগরিতে ভিডিও নির্মাণ করতে চাচ্ছেন বা আপনার কোন বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে সেটি সিলেক্ট করতে হবে। চ্যানেল ক্রিয়েশনের পর আপনাকে নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও পাবলিশ করে যেতে হবে। নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া অর্থাৎ ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। 

মনিটাইজেশন অন হয়ে গেলে পরবর্তীতে আপনি ভিউ এর ভিত্তিতে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। যদিও সেখানে অ্যাড দেখানোর পরিবর্তে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। গুগল এডসেন্স ব্যতীত আপনি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি অথবা এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। তাহলে বুঝতে পারছেন ইউটিউব অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে কতটা কার্যকর হিসেবে পরিলক্ষিত।

ব্লগিং করে ইনকাম

ব্লগিং বিষয়টি আমরা এজন্যই ইনক্লুড করছি কারণ আমরা নিজেও এই বিষয়টি সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি ব্লগিং করে ইনকাম যদি আপনি করতে চান তাহলে শুধুমাত্র হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য অবশ্যই আপনার ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম ব্লগিং এজন্যই বলা হচ্ছে কারণ এখানে কোনরকম ক্লাইন্ট ম্যানেজ করার ঝামেলা থাকে না। ইউটিউবে যেমন আপনি ভিডিও আপলোড করার পর সেখান থেকে ভিউ এর ভিত্তিতে টাকা পাবেন। 

ঠিক তেমনি প্রতিনিয়ত যদি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট এ ব্লগ পোস্ট করেন তাহলে সেখান থেকেও প্রতি মাসে একটি ভালো আর্নিং করা সম্ভব। তবে এখান থেকেও আপনাকে সর্ব প্রথমে মনিটাইজেশন অন করতে হবে। মনিটাইজেশন অন হওয়ার অর্থ হল আপনি গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেয়ে গেলেন। পরবর্তীতে আর্টিকেল পাবলিশ করার পর আপনার আর্টিকেলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাড শো করানো হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গুগল এডসেন্সে ধীরে ধীরে টাকা বা ডলার জমতে শুরু করবে। ইউটিউব প্লাটফর্মের মত আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটি কাজে লাগিয়েও পণ্য বিক্রিসহ এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশে লক্ষ্য করেন আমরা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে ব্লগিং ওয়েবসাইট সাজেস্ট করেছি। এখানে উল্লেখ করেছিলাম যে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার পাশাপাশি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি লাইফ স্টাইল সমন্ধে ব্লগ পোস্ট লিখে থাকেন। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জামা কাপড় সহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে সেখান থেকে কমিশন প্রাপ্ত হতে পারেন। 
একজন ব্যক্তিকে কোন ধরনের জামা কাপড় পড়লে বেশি আকর্ষণীয় লাগবে সে সম্পর্কে যদি ব্লগে লিখে থাকেন এবং সেখানে উক্ত টি শার্ট কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে দেন। তাহলে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অন্যতম একটি সুবিধা হল এখানে আপনার নিজস্ব কোন পণ্য থাকা লাগবে না। আপনি অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পণ্য অথবা সেবা প্রচার করে সেখান থেকে কমিশন লাভ করতে পারবেন। বিষয়টা এমন যে আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে উক্ত বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল লিখে ঘুমিয়ে থাকবেন। 

আর গুগল এডসেন্স এবং অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম চলতে থাকবে। বাংলাদেশের কিছু স্বনামধন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম প্রদান করে থাকে এরকম কোম্পানির নাম নিচে দেওয়া হল।
  • দারাজ (Daraz)
  • বিডিশপ (BD Shop)
  • রকমারি (Rokomari)
  • সহজ অ্যাফিলিয়েট (Sohoj Affiliate)
  • টেন মিনিট স্কুল (10 Minute School)
উপরে বর্ণনাকৃত এই কোম্পানিগুলো ব্যতীত আরো অনেক কোম্পানির রয়েছে যারা এফিলিয়েট প্রোগ্রাম প্রোভাইড করে থাকে। ভাই অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে আপনি উক্ত কোম্পানিগুলো থেকে খুব সহজেই এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে পারেন। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সহ আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংকগুলো যুক্ত করে সেখান থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আরো একটি বিশেষ উপায় হল গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর খুটিনাটি কাজগুলো শিখে ফেলতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়টি হলো একটি আর্ট এবং ক্রিয়েটিভিটির বিষয়। যদি আপনি মনে করেন এই সেক্টরে আসলে আপনি আপনার দক্ষতা এবং ক্রিয়েটিভিটি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন তবেই কেবলমাত্র এই সেক্টরে আসা উচিত। পাশাপাশি ক্লায়েন্টের যদি মন মত কাজ না হয় তাহলে পুনরায় সেটি করে দেওয়ার মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে এবং সেগুলো রিপেয়ার করে দিতে হয়। যেমন ধরুন আপনি একটি লোগো ডিজাইন করলেন কিন্তু লোগোর একটি অংশ ক্লায়েন্টের পছন্দ হলো না। এক্ষেত্রে আপনাকে সেই অংশটি পুনরায় রিপেয়ার বা আরো নতুনত্ব যোগ করার প্রয়োজন হতে পারে। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো হলো লোগো ডিজাইন, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ইত্যাদি তৈরি করা। এই কাজগুলো অনলাইনে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার এবং আপ ওয়ার্ক থেকে পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি আপনি আপনার এলাকাতে অথবা লোকাল মার্কেটে ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারেন।

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করার বিষয়টি অন্যতম একটি উপায় হিসেবে উল্লেখ করা যেতেই পারে। আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে সহজ কোনো পদ্ধতি খুঁজে থাকেন সেটা হতে পারে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা। আপনি বর্তমান সময়ে খেয়াল করলে দেখবেন ফেসবুকের রিলস ভিডিওগুলো দেখার সময় হঠাৎ আপনার সামনে বিভিন্ন সেক্টর এর কোর্স বিক্রির বিজ্ঞাপন চলে আসে। আপনি যদি কোন একটি সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সে অনুযায়ী যদি কোর্স তৈরি করতে পারেন তাহলে সেটি বিক্রি করেও ইনকাম করা সম্ভব। 

যেমন ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যতগুলো সেক্টর রয়েছে সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করুন এবং সেগুলো একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েশনের মাধ্যমে আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন। আপনার কাস্টমারদের ওয়েবসাইটে লগইন করার জন্য পাসওয়ার্ড দিয়ে দেবেন এবং তার পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট গ্রহণ করবেন। এতে করে একবার যদি আপনি কোর্স তৈরি করতে পারেন তাহলে বারবার বিভিন্ন ভাবে অধিক লোকের কাছে বিক্রি করার সুযোগ থাকে।

অনলাইনে ইনকাম করার apps

আপনি যদি দীর্ঘস্থায়ী এবং মোটা অংকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে উপরে বর্ণনাকৃত বিষয়গুলোকে ফলো করতে হবে। এগুলো ব্যতীত আপনি যদি মনে করেন শর্টকাটে পার্ট টাইম হিসেবে অল্প কিছু টাকা ইনকাম করতে পারব তাহলে এড দেখে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ কিছু অনলাইনে ইনকাম করার apps রয়েছে যেগুলোতে আপনি শুধুমাত্র প্রতিদিন অ্যাড দেখে অল্প কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত কাজ করতে হবে। নিচে কয়েকটি অনলাইনে ইনকাম করার অ্যাপস এর নাম তুলে ধরা হলো।
  • JumpTask
  • InboxDollars
  • Neobux
  • iRazoo
  • AdWallet
  • Paidverts
  • PrizeRebel
  • Free Cash
  • MyPoints
  • QuickRewards
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে হয়তো আপনি উপরে বর্ণনাকৃত এই অ্যাপসগুলো ডাউনলোড করে সেখান থেকে সামান্য কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন। সারাদিন অ্যাড দেখার পরে হয়তো এক ডলার প্রদান করে থাকে কোম্পানিগুলো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় টাকা জমা হওয়ার পর আপনি সেখান থেকে আর উইড্র করতে পারছেন না। অবশ্যই অ্যাপগুলো ইন্সটল করার পূর্বে তাদের কাস্টমার রিভিউ দেখেই ফোনে ডাউনলোড করবেন। কেননা এতে করে আপনার সময় অর্থ সব কিছুই নষ্ট হতে পারে।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

অনেকেই অনলাইনে ইনকাম করার apps গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করে থাকে। তবে এ ধরনের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট থেকে আমরা সবসময় বিরত থাকার আহ্বান করে থাকি। সত্যি যদি আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে সঠিক পথে কাজ করে যেতে হবে। কিন্তু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর সঙ্গে রিলেটেড সেগুলোতে আপনি নিঃসন্দেহে কাজ করতে পারেন। 
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়েও কাজ করেন সেক্ষেত্রে দেখবেন একটি সময় আপনি সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন। কিন্তু শর্টকাট উপায়ে যদি অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট দিয়ে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে হয়তো পার্টটাইম হিসেবে কিছু টাকা আসতে পারে। চলুন তাহলে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট 2024 অর্থাৎ কোন ওয়েবসাইট থেকে রিয়াল কাজ করা যাবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

                            ওয়েবসাইট

        অনলাইন ইনকাম করার উপায়

Google AdSense

মনিটাইজেশন অন করে ইনকাম

Google Admob

বিজ্ঞাপন প্রদর্শন

Fiverr

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম

UpWork

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম

Free cash.com

রেফার এবং মাইক্রো টাস্ক

Swagbucks.com

এইড সার্ভে এবং মাইক্রো জব

Medium

কন্টেন্ট পাবলিশ করে ইনকাম

2 Captcha

ক্যাপচাএন্ট্রির কাজ

Shutterstock 

ছবি বিক্রি করে ইনকাম

Facebook 

ভিডিও থেকে ইনকাম

Youtube

ভিডিও থেকে ইনকাম

Ysense

ছোট ছোট মাইক্রো জব থেকে ইনকাম

Dreams time

অনলাইনে ফটো বিক্রি

লেখকের মন্তব্য

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে আপনি একটি সেক্টরে এপ্লাই করলেন আর সেখান থেকে ইনকাম করা শুরু হয়ে গেল। সর্বপ্রথমে আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করতে হবে। কোন কাজগুলো আপনার জন্য প্রযোজ্য সেটি নির্বাচন করুন এবং সে অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যান। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে যে পদ্ধতি গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি, সেগুলো থেকে আপনার কোনটাতে আগ্রহ রয়েছে সেটি যাচাই করুন। 

অবশ্যই ক্যারিয়ার হিসেবে যদি অনলাইন প্লাটফর্মটিকে বেছে নেন তাহলে অনলাইনে ইনকাম করার apps গুলোর উপর ডিপেন্ডেবল থাকা চলবে না। নিজের একটি ব্র্যান্ড অথবা প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে হবে যেখান থেকে আপনি ভবিষ্যতে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই উক্ত বিষয়টিতে একটি কোর্স করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভালো মানের একটি আইটি সেন্টারে দেখে শুনে ভর্তি হবেন এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে মার্কেটপ্লেস থেকে যেন কাজ পান সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলবেন। আর আপনার এই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জার্নিকে আরো একধাপ সামনে এগোতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংবলিত আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url