সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ-ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্বন্ধে আপনি যদি সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা হতে পারে আরো সহজ এবং সুদৃঢ়। বর্তমান সময়ে ২০২৪ সালে এসে আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করে থাকি। ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং নিউজফিড থেকে শুনে থাকি, কিন্তু এর আদ্যপ্রান্ত সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না। অনেকে আবার যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি বুঝেও থাকে।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কোন কাজগুলো আসলে শেখা উচিত এবং কোন কাজগুলোর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব সে সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান থাকেনা। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যদি আপনি মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করেন সেক্ষেত্রে প্রথমেই কোর্স করার পূর্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব।
পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে আপনাদেরকে সকল কিছু বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোনগুলো এ সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি অংশ মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি পেশা যেখানে একজন ব্যক্তির তার স্বাধীন মত কাজ করার সুযোগ পায়। যেখানে একজন অফিসে কর্মরত ব্যক্তি টাইম মেইনটেইন করে অফিসে যাওয়া থেকে শুরু করে টাইম মেইনটেম করে ফেরা পর্যন্ত সকল কিছুই তার কাজের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সার কখনই তার অফিসের টাইম মেইন্টেন করে না। অর্থাৎ তার নিজস্ব সময় ধারা অনুযায়ী কাজ শেষ করে ক্লায়েন্টের কাছে জমা দিলেই হয়ে যায়। ধরুন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর একটি সেক্টরে কাজ করছেন, সে ক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেস থেকে ওই বিষয়ে যদি কাজের অর্ডার পেয়ে থাকেন।
তাহলে আপনি আপনার খেয়াল খুশিমতো টাইম ম্যানেজ করে উক্ত সময়ের মধ্যে জমা দিলেই পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। আর এজন্যই বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত। লক্ষ্য করলে দেখবেন ১০ জনের মধ্যে ২ জনের ইচ্ছা থাকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা এবং এই সেক্টরে ক্যারিয়ার নিশ্চিত করা। তবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যদি সাকসেসফুল হতে চান তাহলে অবশ্যই এর কাজ সম্বন্ধে যেমন জানতে হবে। ঠিক তেমনি সে সকল কাজে নিজেকে করে তুলতে হবে দক্ষ।
যদি প্রপার লেভেলের গাইডলাইন ফলো না করে আপনি নিজেকে এক্সপার্ট না করতে পারেন তাহলে হয়তো কিছুদিন অল্প পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু ভবিষ্যতে সেখান থেকে আপনার ভালো কিছু করার আর সুযোগ থাকবে না। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি শেখার আগে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো সম্পর্কে জানা উচিত। যদিও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের পরিধি অনেক বড় এবং এখানে কাজের কোন শেষ নেই। তারপরেও আমরা একটি তালিকা আকারে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ নিচে বর্ণনা করলাম।
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development)
- ওয়েব ডিজাইন (Web Design)
- ডাটা এনালাইটিকস (Data Analytics)
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (App Development)
- ওয়েব রিসার্চ (Web Research)
- ওয়েব স্ক্রাপিং (Web Scraping)
- লোগো ডিজাইন (Logo Design)
- টি শার্ট ডিজাইন (T-shirt Design)
- ব্যানার ডিজাইন (Banner Design)
- পোস্টার ডিজাইন (Poster Design)
- কনটেন্ট রাইটিং (Content Writing)
- ব্লগ ওয়েবসাইট (Blog Website)
- ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
- লিড জেনারেশন (Lead Generation)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)
- ডাটা এন্ট্রি (Data Entry)
- ভিডিও এডিটিং (Video Editing)
সাধারণত এ ধরনের কাজগুলোই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে করা হয়ে থাকে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে এখান থেকে যেকোনো একটি কাজ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ উপরে উল্লেখিত সব ধরনের কাজগুলোই মার্কেট প্লেসে পেয়ে যাবেন। যদিও আরো অন্যান্য অনেক ধরনের কাজ মার্কেটপ্লেসে রয়েছে যা সবগুলো তুলে ধরা সম্ভব নয়। আপাতত একই কাজের যেকোনো একটিতে যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ
আপনি উপরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং কাজের কথা তুলে ধরেছি। কিন্তু এগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো মার্কেটপ্লেসের অনেক ডিমান্ড। সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন প্রবেশ করে থাকেন তাহলে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনি আপনার নিশ পছন্দ করতে পারবেন। নিশ হল আপনি যে টার্গেট নিয়ে কাজ করবেন অথবা যে ধরনের কাজটি চয়েস করবেন সেটি হবে আপনার নিশ।
ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার নিশ হবে গ্রাফিক্স ডিজাইন। চলুন তাহলে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলো সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টি সম্বন্ধে প্রাথমিকভাবে জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা অবশ্যই শুনেছেন। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তারা তাদের ব্যবসাকে অনলাইন ভিত্তি করার চেষ্টা করছে। খেয়াল করলে দেখবেন আপনি যখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করেন তখন আপনার সামনে অটোমেটিক কিছু পণ্যের অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন চলে আসে। আপনি হয়তো মনে করতে পারেন এগুলো হয়তো অটোমেটিক ভাবেই আপনার সামনে আসে। কিন্তু বিষয়টি আসলে তা নয়,
এর পিছনে রয়েছে একজন ডিজিটাল মার্কেটার যে কিনা তার দক্ষতা এবং পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন আপনার সামনে নিয়ে এসেছে। ধরুন আপনার বাচ্চার বয়স ৬ মাস। আপনার এই মুহূর্তে ওয়াশেবল ডাইপার এর প্রয়োজন। দেখবেন আপনার সামনে সত্যি সত্যি ডাইপার এর বিজ্ঞাপন চলে আসবে। এটা আসলে কিভাবে হয়, আপনি যখন আপনার বেবির ফটো ফেসবুকে আপলোড করেন তখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ডাটাটি সংরক্ষিত করে রাখে।
পরবর্তীতে একজন ডিজিটাল মার্কেট আর যখন অ্যাড ক্যাম্পেন রান করে তখন অটোমেটিক ভাবে আপনার সামনে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত করা হয়। আর এজন্যই একজন ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা অনেক।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development
ফ্রিল্যান্সিং জগতের অন্যতম একটি ডিমান্ডেবল সেক্টর হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ধরুন কারো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে একজন ওয়েব ডেভলপার হায়ার করতে হবে যে কিনা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে থাকে। একজন ডিজিটাল মার্কেটরের কাজ হল পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করা। কিন্তু পণ্য বিক্রির জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হবে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের। তাহলে সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পড়ছে একজন ওয়েব ডেভলপারের।
তাই আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে মার্কেটপ্লেসে প্রফেশনাল মানের একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক অনেক কাজের অর্ডার পাবেন। ওয়েব ডেভেলপিং এর আরো একটি বড় সুবিধা হল একটি কাজ করে অনেক ডলার ইনকাম করা যায়। আর এজন্যই ওয়েব ডেভলপমেন্টকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যদিও ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই প্রশ্নটিতে ওয়েব ডেভলপমেন্ট শেখা একটু কঠিন হতে পারে।
ওয়েব ডিজাইন (Web Design)
একজন ওয়েব ডেভেলপার শুধুমাত্র ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়। কিন্তু ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজন হয় আরো একজন ব্যক্তির। আর তিনি হলেন ওয়েব ডিজাইনার। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে আর এই ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন করার জন্যই একজন ডিজাইনার কে হায়ার করা হয়। সুতরাং আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার ওয়েব ডিজাইনে পরিচালিত করতে চান তাহলে অবশ্যই সেটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। একজন ওয়েব ডেভলপারের পাশাপাশি অবশ্যই প্রয়োজন হবে একজন ওয়েব ডিজাইনারের। আবার ওয়েব ডেভলপার যে ধরনের টাকা ইনকাম করে ঠিক সমপরিমাণ টাকা ডিজাইনাররাও ইনকাম করে থাকে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ থাকবে না এটা কখনোই সম্ভব নয়। যতদিন পর্যন্ত এই সেক্টর বহাল রয়েছে ঠিক ততদিন পর্যন্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন থাকবে। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক পোস্টার বা ব্যানার ক্ষেত্রে নয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেক্ষেত্রে থামনেল তৈরি করার জন্যেও একজন গ্রাফিক ডিজাইনার প্রয়োজন হতে পারে।
বছরের শুরুতে ক্যালেন্ডার তৈরি, রেস্টুরেন্টের মেনু কার্ড, পোস্টার, ব্যানার, লোগো ডিজাইন সবকিছুই গ্রাফিক্স এর কাজের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর যেকোনো একটিতে যদি আপনি দক্ষতা এবং নিপুণতা তুলে ধরতে পারেন তাহলে দেখবেন ফাইবারের মতো মার্কেটপ্লেস থেকে অহরহ কাজের অর্ডার পেয়ে যাচ্ছেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)
পূর্বের তুলনায় বর্তমানে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো এমন একটি কাজ যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা সুযোগ থাকে। আপনি নিজে সেই প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে তাদেরকে সহযোগিতার কাজটি করতে পারেন। ধরুন কারো একটি ওয়েবসাইট ম্যানেজ করা, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করা ইত্যাদি কাজগুলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট করে থাকে।
তবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের কাজ ম্যানেজ করার বিষয়গুলো জানতে হবে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই আপনাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর দায়িত্ব প্রদান করবে না। পূর্বের যদি অভিজ্ঞতা না থাকে সেক্ষেত্রে কাজ পাওয়াটা একটু কঠিন হয়ে যেতে পারে।
ব্লগ ওয়েবসাইট (Blog Website)
সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোনটি হবে এ বিষয়টিতে আমরা ব্লগ ওয়েবসাইটকে অবশ্যই তালিকাতে রাখবো। কেননা আমরা ব্যক্তিগতভাবে নিজেও ফ্রিল্যান্সিং এই সেক্টরের ব্লগ ওয়েবসাইট এর সাথে জড়িত। যদিও ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার বিষয়টি প্যাসিভ ইনকামের সমতুল্য। ব্লগিং করে ইনকাম করার বিষয়টি অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই বিষয়টিতে ব্লগিং অনেকটাই সহজ বলে আমরা মনে করি। আমরা এ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটিভ ইনকামের বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
ব্লগিং করে ইনকাম এ বিষয়টি আসলে একটি প্যাসিভ ইনকাম। আপনি কোন একটি কাজ একবার করলেন এবং সে কাছ থেকে প্রতিনিয়ত টাকা ইনকাম করার বিষয়টি হলো প্যাসিভ ইনকাম। উদাহরণস্বরূপ আপনি এই মুহূর্তে আমাদের এই ব্লগটি পড়ছেন। আমরা যখন এই ব্লগটি তৈরি করেছিলাম সেটি একবারে তৈরি করে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছি। পরবর্তীতে পাঠকগণ পড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা টাকা আর্নিং করতে পারছি। সুতরাং আপনার যদি লেখালেখির অভ্যাস অথবা আগ্রহ থাকে এবং আপনি আপনার দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন তাহলে ব্লগ ওয়েবসাইট থেকেও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
আমরা ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজগুলোর কথা উল্লেখ করেছি এবং প্রত্যেকটি কাজের চাহিদায় মার্কেটপ্লেসে বহাল রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আসলে অনেকটা একটি সার্কেলের মত কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ কোন একজন ব্যক্তির যদি পারফিউম এর বিজনেস থাকে এবং সে চাচ্ছে তার পারফিউমটি অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে সেল করতে। তাহলে অনলাইনে যদি ফেল করতে চায় সেক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে তার প্রয়োজন পড়বে একটি ওয়েবসাইটের যেখানে তার সকল ধরনের পারফিউম এর বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন পূর্বে একজন ওয়েব ডেভলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইনারের।
পরের ধাপে এসে প্রয়োজন হবে পারফিউমের সুন্দর সুন্দর ছবি যেগুলো তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হবে। তাহলে সে ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের। সবকিছু সঠিক হলে এরপরের প্রয়োজন হবে একজন মার্কেটিং এক্সপার্ট যে কিনা অনলাইনে তার প্রোডাক্টটি সেল করে দেবে। আর সেই ব্যক্তিটি হলেন একজন ডিজিটাল মার্কেটার। তাহলে একটি ব্যবসা অনলাইনে পরিচালনা করার জন্য সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করা হচ্ছে। সুতরাং পাঠকগণ সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ আসলে কোনটি হওয়া উচিত এটি বলা মুশকিল।
কারণ প্রত্যেকটি কাজ একে অপরের সাথে সম্পূরক। আপনি যদি এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা না করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এটি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোন সেক্টরের কাছ থেকে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। এরপরেও আমরা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নটিতে আরো ৩ টি কাজের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা অনলাইন থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং (Video Editing)
বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার জন্য প্রোডাক্টের ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে। পূর্বে যদিও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হতো টিভিতে ভিডিওগুলোর মাধ্যমে। পরবর্তীতে কিছু পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে শুধুমাত্র ফটোর মাধ্যমে। যদিও বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র ফটোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু হিসেব বলছে ফটো চাইতে ভিডিও এর মাধ্যমে যে ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো হয় সেগুলোতে দর্শকদের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হয়।
আর এজন্যই পূর্বের তুলনায় বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর মার্কেট অনেক বিস্তার লাভ করেছে। শুধুমাত্র পণ্যের ভিডিও ক্রিয়েট নয় অনেক ইউটিউবার রয়েছেন যারা তাদের ভিডিও এডিট করার জন্য এ ধরনের ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে। অনেক বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যারা পার্মানেন্টলি ভাবে তারা তাদের এডিটরকে রেখে দেয়। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি বড় কোন ইউটিউব চ্যানেলের আন্ডারেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নটিতে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কে রাখতে হবে। কেননা এটি ব্যতীত ফ্রিল্যান্সিং জগত সম্পূর্ণভাবেই অচল হয়ে যাবে। আপনি এই মুহূর্তে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিও একটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর অংশ। এখানে অন পেজ এসইও (On Page SEO) করা হয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সামনে গুগল কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত করেছে। যারা পেইড প্রমোশনে আগ্রহী নয় তারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য এ ধরনের এক্সপার্ট ব্যক্তিকে খুঁজে থাকেন।
তারা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইটকে Google রেঙ্কে নিয়ে আসে। অন্যের বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে ব্লগ ওয়েবসাইট সবগুলোই সার্ক ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে র্যাঙ্ক করানো সম্ভব। তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনেক ধরনের কাজ এর সাথে সংযুক্ত। যেমন ধরুন অফ পেজ এসইও (Off Page SEO), অন পেজ এসইও (On Page SEO), টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)। এই তিন ধরনের এসিইওর মধ্যে যদি আপনি একটিতে নিজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে আপনারা আর কাজের অভাব হবে না। তাই শুধুমাত্র যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এসইও নিয়ে কাজ করেন সেক্ষেত্রেও সফলতার শিখরে পৌঁছানো সম্ভব।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ এজন্যই বলা যেতে পারে এর কারণ হলো এটি একটি প্যাসিভ ইনকাম। যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে তাদেরকে সবসময় কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে বসে থাকতে হয় না। কোন একটি প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করে সেটি সোশ্যাল মিডিয়া সহ নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট সেল করলে কমিশন নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা এই বিষয়ের ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এটি জানার জন্য আপনাকে একজন ভালো মানের গাইডারের শরণাপন্ন হতে হবে।
যদিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টি শুনতে সহজ মনে হয় কিন্তু এটি করা এতটাও সহজ নয়। কারণ আপনি একটি প্রোডাক্ট সেল করলে সেখান থেকে কমিশন পাবেন। আর প্রোডাক্ট সেল করা অবশ্যই একটি সহজ কাজ নয়। বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয় এবং টিপস গুলো ফলো করে আপনি আপনার প্রোডাক্টগুলো সেল করার চেষ্টা করবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে ভালো একটি বৈশিষ্ট্য হলো আপনার বিভিন্ন ক্লায়েন্ট ম্যানেজ করতে হচ্ছে না। পাশাপাশি একটি কাজ একবার করে রাখলে পরবর্তীতে সেখান থেকে কমিশন কন্টিনিউ ভাবে আসতেই থাকবে। আর এজন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং কে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়টিতে ইনক্লুড করা হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়টি ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোনগুলো এ সম্পর্কে। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জানতে হয় সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়। আপনি যদি কাজ সম্বন্ধে আইডিয়া পেয়ে যান তাহলে সেই কাজটি আসলে কিভাবে করা যেতে পারে সেটিও জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো আসলে আপনি কিভাবে করবেন এটি অনেকটা আপনার নিজস্ব প্যাটার্নের উপর নির্ভর করবে।
কেননা একেকজনের কাজের ধরন এবং প্যাটার্ন আলাদা হয়ে থাকে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে সত্যিই টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী দিনের একটি ভাগে কাজ করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চলুন বিষয়গুলোকে একটু পয়েন্ট আকারে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে যেটাকে আমরা নিশ বলে উল্লেখ করেছি। কেননা লক্ষ্য ছাড়া আপনি কখনোই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
- যে কাজটি আপনার কাছে সহজ এবং আগ্রহ রয়েছে এরকম বিষয় চয়েস করুন। ধরুন আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ আগ্রহ তৈরি হয়েছে কিন্তু যেহেতু বিষয়টি একটু কঠিন এবং ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হয়। তাই জেনে বুঝেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি কোর্স করতে হবে। তবে আমাদের পরামর্শ হলো কোন কোর্সে ভর্তি হওয়ার পূর্বে আপনি Youtube থেকে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে পূর্বেই সামান্য পরিমাণ অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে পারেন।
- দিনের একটি সময়ে রাতে অথবা সকালে টোটাল কমপক্ষে ৬ ঘন্টা করে কাজ করার অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে কাজ করার মন মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামতে হবে।
- কোর্স করার জন্য অবশ্যই ভালো মানের একটি আইটি প্রতিষ্ঠান খুঁজতে হবে। আইটি প্রতিষ্ঠানে যারা আপনার মেন্টর হিসেবে কাজ করবে, তাদের পূর্বের অভিজ্ঞতাগুলো যাচাই করুন। যদি দেখেন পূর্বে তারা সফল একজন ফ্রিল্যান্সার ছিল তবেই সেখানে ভর্তি হবেন।
- কোর্স করার পরে আপনার প্রথম যে বিষয় সামনে আসবে সেটি হল মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা। সর্ব প্রথমে ফাইবার, আপওয়ার্ক এর মত মার্কেটপ্লেস গুলোতে চেষ্টা করার পাশাপাশি আন্ডাররেটেড কিছু মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট হান্টিং এর চেষ্টা করবেন।
- মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই নিজের অভিজ্ঞতা এবং পোর্টফোলিও গুলো খুব ভালোভাবে সাজানোর চেষ্টা করুন। যাতে করে ক্লাইন্ট আপনার সম্পর্কে খুব সহজেই একটি ধারণা নিশ্চিত করতে পারে।
- যদি আপনার ইংলিশ কমিউনিকেশনে দুর্বলতা থাকে তাহলে অবশ্যই ইংলিশে একটি বেসিক কোর্স করতে পারেন। এর কারণ হলো ক্লাইন্টের সাথে কথা বলার সময় আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে কথা বলে তাকে সবকিছু বোঝাতে হবে।
আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের মাঝে কিছু বিষয়গুলো শেয়ার করলাম যেগুলো এপ্লাই করার মাধ্যমে আপনার অবশ্যই একটি ভালো ফলাফল পাবেন বলে আমরা আশা ব্যক্ত করি। যদিও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি এতটাও সহজ নয় আবার কঠিনও নয়। কিন্তু পূর্বের তুলনায় বর্তমান লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অধিক বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই কাজের অর্ডার নিশ্চিত করতে পারে না। সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজেকে সেই লেভেলে দেখতে চান তাহলে প্র্যাকটিস এবং দক্ষতা ছাড়া অন্য কোন কিছুর আর বিকল্প নেই। তাই প্রথম দিন থেকেই শুরু করে দিন পরিশ্রম এবং পৌঁছে যান আপনার সফলতার চরম শিখরে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন
ফ্রিল্যান্সিং জগতে একজন নতুন ব্যক্তির সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোনগুলো এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন। আমরা এই পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় সে সম্বন্ধে খুব ভালো একটা ধারণা অর্জন করতে পেরেছি। কাজ এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি, কিভাবে করতে হয় এগুলো যেমন জানা জরুরি।
ঠিক তেমনি কাজগুলো করার জন্য কিসের প্রয়োজন হতে পারে সেটাও জানতে হবে। অনেকেরই ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহ থাকলেও সঠিক গাইডলাইন অথবা কোন বিষয়গুলো জানার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করা যেতে পারে সে সম্পর্কে অজ্ঞ থাকেন। চলুন তাদের বিষয়গুলোকে পরিষ্কার করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার ক্ষেত্রে কিসের প্রয়োজন হয় সে সম্বন্ধে জানবো।
- সর্ব প্রথমে অবশ্যই আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকা জরুরী। যদিও হাতে থাকায় স্মার্টফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কিছু কিছু কাজ করা সম্ভব হয়।
- ল্যাপটপ, কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন থাকার পরের বিষয়টি হল ইন্টারনেট সংযোগ থাকা। যেহেতু আপনি কাজগুলো অনলাইন ভিত্তিক করতে যাচ্ছেন সেহেতু অবশ্যই আপনার বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরী।
- কম্পিউটার সম্বন্ধে আপনার অবশ্যই এ টু জেড ধারণা না থাকলেও বেশির ধারণা থাকতে হবে। যেমন ধরুন মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট অফিস, ইন্টারনেট পরিচালনা এ ধরনের টুকিটাকি কাজ আপনাকে জানতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক হয় এবং ব্রাউজার দিয়ে করা হয়। আমরা উপরে উল্লেখ করেছি যে ইন্টারনেট পরিচালনা সম্বন্ধে আপনাকে জানতে হবে। আর ইন্টারনেট পরিচালনার জন্য অবশ্যই সকল ধরনের ব্রাউজিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
- যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেশের বাইরের ক্লায়েন্টের সাথে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কেননা কমিউনিকেশন ছাড়া আপনি কখনোই বায়ার ম্যানেজ করতে পারবেন না।
আশা করা যায় এগুলো সরঞ্জাম এবং কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুব ভালো একটি পজিশন তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে। হতে পারে আপনি প্রথমবার, দ্বিতীয়বার এমনকি তৃতীয়বারে ফেইল হতে পারেন। ফেল হওয়ার পর পুনরায় কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি যদি করতে পারেন তাহলেই দেখবেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হয়েছেন।
ইংলিশে একটি প্রবাদ রয়েছে “A failure is the pillar of success”। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হওয়ার জন্য আপনি যদি ফেল হন তাহলে পুনরায় চেষ্টা করুন। দেখবেন কোন না কোন একদিন আপনি সফল হয়েছেন।
লেখকের মন্তব্য
পড়াশোনা শেষ করে বেকার বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার বিষয়টি হতে পারে আপনার জন্য সুবর্ণ একটি সুযোগ। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার বিষয়টি একদিনে কখনো সম্ভব নয়। এজন্য রাতের পর রাত আপনাকে করতে হবে পরিশ্রম। বলাবাহুল্য যে আপনি যদি ধৈর্য, সময়, অর্থ এবং পরিশ্রম বিনিয়োগ করার মন মানসিকতা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে না পারেন তাহলে সেখান থেকে কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।
আমাদের পরামর্শ থাকবে যদি আপনি মনে করেন যে আপনি সেখানে সকল ধরনের ডেডিকেশন ইনভেস্ট করতে প্রস্তুত তবেই মাত্র ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন। পাশাপাশি আমরা তো রয়েছি আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সকল ধরনের টিপসগুলো প্রদান করার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এই আর্টিকেলে আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্বন্ধে আপনাদেরকে সকল ধরনের তথ্য ও প্রোভাইড করার চেষ্টা করেছি।
পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এ বিষয়টিতে প্রত্যেকটি পয়েন্ট আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি যা ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা কে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। সুতরাং কোনরকম টেনশন বা চিন্তা না করে আজকে থেকে শুরু করুন আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা এবং ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এ ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেলগুলো পাওয়ার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url