10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় জানুন বিস্তারিত

10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় এই বিষয়টি জানতে পারলে আপনার ফেসবুকে কাজ করার আগ্রহটা আরো বেশি বেড়ে যাবে। বর্তমান সময়ে এসে আজকাল অনেকেই ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটি থেকে অনেক টাকা ইনকাম করছে। তারা তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে ও ফেসবুককে বেছে নিয়েছে। শুধু ভিডিও আপলোড নয় ফেসবুক বর্তমান সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ার পাশাপাশি বিজনেস সেক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা অনলাইন বিজনেস করে থাকে তারা কিন্তু অবশ্যই ফেসবুকের শরণাপন্ন হয়। আবার আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন সেক্ষেত্রে অন্য সেল করার জন্য ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই আজকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বিষয়গুলো বাদে শুধুমাত্র ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় এ বিষয়গুলো আমরা জানার চেষ্টা করব। 
10000-ভিউ-এর-জন্য-ফেসবুক-কত-টাকা-দেয়
কেননা এ বিষয়টির উপর নির্ভর করবে আপনি ভিডিও আপলোড করার প্রতি কতটা মনোনিবেশ করতে পারছেন। তাছাড়া আপনি যদি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে এ ধরনের বিষয় জানাটা খুবই জরুরী। উক্ত বিষয়টি বাদে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আরো যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা এবং ফেসবুক রিল প্রতি 1000 ভিউতে কত টাকা দেয় এ বিষয়গুলো সম্পূর্ণভাবে আপনাদেরকে জানানো হবে। সুতরাং ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা এবং 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় এ বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা

আপনার ফেসবুক জার্নি কে আরো একধাপ উন্নত করতে এবং কাজে মনোনিবেশ করার জন্যই মূলত আজকে আমাদের এই আর্টিকেল তৈরি করা। যারা ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য ফেসবুক পেজ তৈরি করে এবং সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করার চেষ্টা করে তাদের জন্য ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা দিয়ে থাকে সেটা জানতে হয়। মূলত সেখানেও বিজ্ঞাপন দেখার ভিত্তিতেই পেমেন্ট প্রদান করা হয়ে থাকে। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনায় বর্তমানে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আর এর ফলে কিন্তু ধীরে ধীরে কনটেন্ট ক্রিয়েটর এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আপনি যদি একজন ক্রিয়েটর হতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কোয়ালিটি ফুল ভিডিও নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি কোন ধরনের কাজ করলে বেশি টাকা আর্নিং করা সম্ভব হবে সে সম্পর্কেও জানা উচিত। বর্তমান সময়ে একেক জন কনটেন্ট তাদের মাসিক ইনকাম লক্ষ্য টাকারও বেশি হচ্ছে। এখন আমাদের বিষয়বস্তু হলো ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা প্রদান করে এবং 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়। এ বিষয়টি বিশ্লেষণ আকারে জানার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সিপিএম (CPM), সিটিআর (CTR), সিপিসি (CPC) এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা উচিত।

সিপিএম (CPM): সিপিএম (CPM) মানে হচ্ছে প্রতি হাজার ভিউ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কত টাকা দিবে সেটি বুঝিয়ে থাকে। যেমন ১০০০ ভিউয়ের জন্য সিপিএম থাকবে ১ ডলার। ১০ হাজার ভিউয়ের জন্য সিপিএম থাকবে ১০ ডলার। সিপিএম এর হিসাব সাধারণত এভাবে করা হয়। আমরা এখানে সিপিএমের হিসাব একটি গড় হিসাবে অনুযায়ী করার চেষ্টা করেছি। ভিডিও এবং কনটেন্ট ভেদে এর হিসেব কম অথবা বেশি হবে।

সিটিআর (CTR): সিটিআর (CTR) হল কত পারসেন্ট মানুষ বা ভিউয়ার বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে ক্লিক করছে। কারণ আপনার ভিডিওতে যখন বিজ্ঞাপন শো করানো হবে তখন সবাই কিন্তু বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে না। কতজন ভিডিও গুলো দেখছে এবং কত মানুষ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করছে তার একটি হিসাব করা হয় সিটিআর এর মাধ্যমে। যেমন CTR যদি ১০% হয় তাহলে ১০০ জনের মধ্যে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করছে ১০ জন এরকম বোঝাবে।

সিপিসি (CPC): সিপিসি (CPC) বিষয়টি হলো আপনার বিজ্ঞাপনে ভিউয়ার গুলো ক্লিক করার ভিত্তিতে আপনাকে কত টাকা প্রদান করা হবে সে বিষয়টি বোঝানো হচ্ছে। সিপিসি যদি বেশি থাকে তাহলে একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের জন্য বিষয়টি আশীর্বাদ স্বরূপ। যেমন CPC যদি ০.১ ডলার হয় তার মানে ১০ জন ক্লিক করলে এ এমাউন্ট পাওয়া যাবে (১০০০ ভিউয়ার এর ভিত্তিতে)। 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় এই প্রশ্নতে ঠিক একই ভাবে সিপিসি আসবে ১ ডলার।

আশা করি আপনারা ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে হলে এ বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের কনটেন্ট আপলোড করার চেষ্টা করতে হবে। যে ভিডিওগুলো মানুষ ওয়াচ করে এবং দেখে আকর্ষণ অনুভব করে এ ধরনের কনটেন্ট আপলোড করা উচিত। এছাড়া ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে অবশ্যই আপনার ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের বিষয়টি বৃদ্ধি করতে হবে। এর কারণ হলো লাইক এবং কমেন্ট এর ফলে আপনার ভিডিওর রিচ বৃদ্ধি পাবে। 

এতে করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ভিডিওটি আরো বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা শুরু করে দেবেন। একবার যদি আপনার ভিডিওর ইম্প্রেশন বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনার ভিডিওতে যত ভিউ হবে সে অনুযায়ী আপনার ইনকাম কত বৃদ্ধি হতে থাকবে। সুতরাং আপনি যদি ফেসবুক থেকে অর্থ ইনকাম করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে কোয়ালিটি ফুল ভিডিও আপলোড করার বিকল্প আর কিছু নেই। কেননা আপনার দর্শক যখন আপনার ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবে তখনই কিন্তু লাইক এবং কমেন্ট করবে। আর লাইক কমেন্ট এর ফলে অবশ্যই আপনার ভিডিওতে ভিউ বেশি আসবে এবং রিচ বৃদ্ধি পাবে।

10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়

ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে মনিটাইজেশন পেতে হবে। ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া রয়েছে যেগুলো ফিলাপ করার মাধ্যমে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। সাধারণত একটি ফেসবুক পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার ৬ লাখ মিনিট এর ভিউ এবং পাঁচটি ভিডিও থাকলে সে রিলস ভিডিওগুলোতে এড দেওয়ার পারমিশন পায়। বিষয়টিকে বলা হয় এড অন রিলস। উক্ত এডগুলো থেকে আশা অর্থ একজন কনটেন্ট কিউটর পাই ৫৫ পার্সেন্ট এবং বাকি ৪৫ পার্সেন্ট চলে যায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিকট। 

পরবর্তী সময়ে রিলসে কোনরকম এড দেওয়া যেত না। শুধুমাত্র ফেসবুক পেজের লং ভিডিও গুলোতে এড বসানো যেত। পরবর্তীতে এসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ্যাড অন রিলস নিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এখন থেকেও ইনকাম করা যাচ্ছে। এ নতুন ফিচারে আরো একটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে সেটি হল একজন ব্যবহারকারী দেখার সময় তার সেন্ড করতে পারবে। প্রতি আসবে ১ পয়সা করে। এভাবে যদি ১০০ জন স্টার সেন্ড করে সেক্ষেত্রে ১ ডলার আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে। রিয়াল প্রোগ্রাম আসার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সময়ের ঘরে বসেই অনেকে ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। 

রিলস ভিডিও থেকে ইনকাম করার পাশাপাশি আরো একটি সুবর্ণ সুযোগ হলো স্প্রে বোনাস প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ইনকাম করা। এই প্রোগ্রামে মেটা একটি ফিশার যুক্ত করেছে। সেটি হল কোন ভিডিওতে যদি ৩০ দিনে ১০০০ ভিউ নিয়ে আসা যায় তাহলে কর্তৃপক্ষ থেকে টাকা চলে আসবে। এই প্রকল্পের অধীনে অনেকে ৩৫ হাজার ডলার বা বাংলা টাকায় ২৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সমর্থ হয়েছে। আশা করি যদি আপনি 100 ভিউ এর হিসাব যদি বুঝতে পারেন তাহলে 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় সে বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে গেল। এছাড়াও কনটেন্ট এর উপর নির্ভর করবে যে ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা প্রদান করবে।

ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে ফেসবুকে এক মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিষয় হলো পূর্বে সিপিএম, সিপিসি এগুলো খুব বেশি প্রদান করা হতো। যার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু ইনকাম এর পরিমাণ সব সময় বেশি থাকতো। এখন সিপিসি কমে যাওয়ার ফলে ইনকামের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। যদিও আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশ একটি হিসেবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। সেটি কিন্তু সবসময় পরিবর্তনশীল। তাই আমরা এক মিলিয়ন ভিউ অনুযায়ী কত টাকা আসবে সেটি হিসাব করার জন্য তার নিচের একটি হিসাব নেওয়ার চেষ্টা করব। 
অর্থাৎ এখানে সিপিসি (CPC) আমরা আরো একটু কম নিয়ে হিসাব করার চেষ্টা করব। আমরা সিপিসি ধরে নিলাম ০.২০ ডলার। অর্থাৎ ১০০০ জন যদি ভিডিও ওয়াচ করে তাহলে ইনকাম আসবে ২০ পয়সা। তাহলে ৫০০০ জন ভিউয়ার যদি ভিডিও দেখে তাহলে ইনকাম আসবে ১ ডলার। তাহলে ১ লক্ষ ভিউ অনুযায়ী ইনকাম আসবে ২০ ডলার। যেহেতু ১ মিলিয়ন সমান ১০ লক্ষ। তাহলে ১০ লক্ষ ভিউয়ের জন্য ইনকাম আসবে ২০০ ডলার। সুতরাং আমরা বলতে পারি ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউতে ইনকাম আসবে ২০০ ডলার। 

পাঠক আমরা কিন্তু এখানে ফেসবুক পেজের লং ভিডিওর ইনকামের হিসাব করেছি। অ্যাড অন রিলসের হিসাব টা একটু আলাদা হবে। সেটিও আমরা একটু পরে জানতে পারব। ১ মিলিয়ন ভিউ অনুযায়ী ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মোটামুটি এ ধরনের একটি অ্যামাউন্ট প্রদান করে থাকে। তবে কনটেন্ট এর ক্যাটাগরি এবং ধরণ অনুযায়ী ইনকামের মাত্রা আরও বেশি অথবা কম হতে পারে। আমরা এখানে শুধুমাত্র কন্টেন্ট কিউটরদের ভিডিও পর্যালোচনা করে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি।

রিলস এ কত ভিউ এ কত টাকা

বর্তমান সময়ে এসে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা অ্যাড অন রিলস চালু করার পরিপেক্ষিতে এখন ইনকামের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। রিলস ভিডিও গুলো সাধারণত টিক টক এর ছোট ছোট ভিডিওর মত হয়ে থাকে। রিলস ভিডিওর ক্ষেত্রে 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় সেটি নির্ভর করবে স্টারের ওপর। আসলে রিলস ভিডিও থেকে কত টাকা ইনকাম করা যাবে এটি সম্পূর্ণ হিডেন রয়েছে। সঠিক তথ্য না পেলেও আমরা একটি অনুমান অবশ্যই করতে পারব। আমরা ইতিমধ্যে কিন্তু ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অবগত হতে। 

রিল থেকে ইনকাম করার একাধিক সুযোগ প্রদান করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তাই আপনি চাইলে একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কিন্তু ভালো সফলতা অর্জন করতে পারেন। রিলস ভিডিও গুলো হলো ফেসবুকে সব থেকে দ্রুত ইনকাম করার একটি পদ্ধতি। প্রায় ১৫০ টি দেশের তথ্য অনুযায়ী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বর্তমান সময়ে দিনের বেশিরভাগ সময় রিলস ভিডিও দেখে। তাহলে বুঝতে পারছেন যদি আপনি রিলস ভিডিও আপলোড করেন তাহলে ইনকামের পরিমাণটা কত বৃদ্ধি পেতে পারে। রিলস ভিডিও গুলো সাধারনত ৫ সেকেন্ডের কম হয়ে থাকে। সুতরাং এ ধরনের ভিডিও করতে খুব একটা পরিশ্রম হবে না। 

একজন ব্যক্তি যদি ১০ হাজার ফলোয়ার এবং ৬০ দিনের মধ্যে ৬ লাখ মিনিট ভিউ নিয়ে আসতে পারে তাহলে অ্যাড অন রিলস এর জন্য বিবেচিত। সাধারণত ৩০ দিনে যদি ১০০০ ভিউ আনা যায় তাহলে এই প্রকল্প থেকে টাকা আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে। এছাড়া স্টার সেন্ড করার পরিবর্তে ও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১০০ জন ব্যক্তি যদি আপনাকে স্টার সেন্ড করে সেক্ষেত্রে ১ ডলার আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে। তাহলে রিলিজ ভিডিও 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় বা প্রদান করবে সেটি অনেকটা কর্তৃপক্ষ ডিসিশন নেবে।

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় এটি আসলে কোন বিষয় নয়। মূলত আপনার ইনকাম নির্ভর করে মনিটাইজেশন অন হওয়ার পরে। যত ফলোয়ারই আপনার পেজে থাকুক না কেন যদি সেটি মনিটাইজড না হয় সে ক্ষেত্রে ইনকাম করা সম্ভব হবে না। ফেসবুকে ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী স্টার মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ৫০০ ফলোয়ার গেইন করতে হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আপনাকে যদি স্টার সেন্ড করা হয় তাহলে প্রতি স্টারে ১ পয়সা করে দেওয়া হবে। এরকমভাবে ১০০ জন যদি সেন্ড করে তাহলে এক ডলার পেয়ে যাবেন। 
10000-ভিউ-এর-জন্য-ফেসবুক-কত-টাকা-দেয়
আবার instream ad এর জন্য আপনাকে ৫০০০ ফলোয়ার সাথে ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। এই ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে পারলে আপনি ইনস্ট্রিম অ্যাপ থেকে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই ফলোয়ার জরুরী। তবে ফলোয়ারের উপর নির্ভর করে ইনকাম জেনারেট হয় না। সেটি মূলত আপনার পরবর্তীতে মনিটাইজেশন যদি হয় তারপরে ভিউয়ের ভিত্তিতে ইনকাম আসবে। আমরা ইতিমধ্যে 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি। 
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা পাওয়া যায় সেটি নির্ভর করবে আপনার ভিউয়ের উপর। তবে আপনার পেজে ফলোয়ার যত বৃদ্ধি পাবে এতে করে আপনার ভিডিওতে ভিউ অনেক বেশি আসবে এবং ইনকামও বেড়ে যাবে। পাশাপাশি আপনি চাইলে আপনার পেজে বিভিন্ন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করে অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাছাড়া ব্র্যান্ড প্রমোশন করেও আজকাল অনেকে ইনকাম তৈরি করে ফেলেছে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ফেসবুকে যত ফলোয়ার থাকুক না কেন আপনি যদি মনিটাইজেশন না পান সেক্ষেত্রে টাকা পাবেন না। 

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে মনিটাইজেশন অন করে নিতে হবে। আর মনিটাইজেশন কিভাবে অন করতে হয় সে ক্ষেত্রে আমরা উপরে ইতিমধ্যে ক্রাইটেরিয়া গুলো তুলে ধরেছি। মনিটাইজেশন অন করার জন্য অবশ্যই ফেসবুকের টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো ফলো করতে হবে। মনিটাইজেশন পলিসি এবং কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি গুলো যদি মানতে পারেন তবেই আপনাকে মনিটাইজেশন অন করে দেয়া হবে। ফেসবুকে নিয়ম রুলস মেনে যদি নিয়মিত কাজ করতে পারেন তবেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

শেষের কথা

ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত কোয়ালিটি ফুল ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে। অবশ্যই একটি ক্যাটাগরি চয়েস করতে হবে যে ক্যাটাগরিতে আপনি নিয়মিত ভিডিও নির্মাণ করবেন। যেমন আপনি যদি ফানি ভিডিও টাইপ ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে সেই ক্যাটাগরির ভিডিওগুলোই তৈরি করার চেষ্টা করবেন। একই চ্যানেলে বা পেজে বিভিন্ন ধরনের বা ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করবেন না। আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয় এ বিষয়টি জানানোর উদ্দেশ্য একটাই। 

সেটি হল আপনাদের ফেসবুকে কাজ করার প্রতি যেন আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। একুরেট ভাবে ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা প্রদান করা হয় সেটি যদিও বলা সম্ভব নয়। আমরা বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিকেট এর উপর ভিত্তি করে আপনাদেরকে একটি হিসেব বলার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফেসবুকের হেল্প সেন্টার থেকেও কিন্তু আমরা বিভিন্ন তথ্য কালেক্ট করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনি চাইলে নিজেও ফেসবুকের বিভিন্ন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা হেল্প সেন্টার থেকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিতে পারেন। 

যা আপনার ফেসবুক থেকে ইনকাম করার বিষয়টিকে আরো সহজ করে তুলতে পারে। আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। পাশাপাশি অনলাইন ইনকামের বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url