১১টি বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ নিতে হলে আপনাকে সেই অ্যাপগুলোর নাম জানতে হবে এবং সে অ্যাপে কিভাবে কাজ করতে হয় সে বিষয়গুলো জানতে হবে। বর্তমান যুগে এসে সময়ের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে আজকাল অনেকেই অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করছে। অনলাইন ইনকাম করা সবচেয়ে ভালো একটি গুন হল আপনি ঘরে বসেই বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ। 
অ্যাপ-প্রতিদিন-1000-টাকা-আয়-পেমেন্ট-বিকাশ
কিভাবে নিতে হয় সে বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। পাশাপাশি ডলার ইনকাম সাইট এবং প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট এ বিষয়গুলোতে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য প্রভাইড করব। কেননা অনলাইন ইনকাম করার মূলমন্ত্র হলো আপনি সঠিক তথ্যগুলো যদি না জানেন তাহলে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। সুতরাং বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ এ কিভাবে নিতে হয় সে বিষয়গুলো জানতে অবশ্যই আপনাদেরকে আর্টিকেলের প্রত্যেকটি অংশ মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
পোস্ট সূচিপত্র

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ

ঘরে বসে ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো একটি মাধ্যম হলো প্রাথমিক অবস্থায় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে কাজ শুরু করা। পরবর্তীতে আপনি যদি কোন একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু তার পূর্বে অবশ্যই ইন্টারনেট বিষয়ে এবং আরো অন্যান্য সকল তথ্যগুলো জানার জন্য বিভিন্ন অ্যাপসে কাজ করা যেতে পারে। অ্যাপসগুলোতে কাজ করলে আপনার যেমন অভিজ্ঞতা হবে ঠিক তেমনি কিছু টাকা আরনিংও করা সম্ভব। এজন্য আপনাকে অ্যাপসগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। 
যদিও এপ্লিকেশনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক বা ইন্টারন্যাশনাল হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশীয় কিছু অ্যাপস রয়েছে যেখানে আপনি কাজ করে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এর মধ্যে কিছু কাজ রয়েছে ঘরে বসে করা যাবে আবার কিছু কাজ প্র্যাকটিক্যালি ম্যানুয়ালি বাহিরে গিয়ে করতে হবে। আমরা সব ধরনের অ্যাপস নিয়েই আজকে আলোচনা করব বিশেষ করে বাংলাদেশের যে অ্যাপস গুলোতে আপনি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন সে বিষয়ে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। 

ইতিমধ্যে যারা এই অ্যাপসে কাজ করে ইনকাম করছে আমরা সেই ধরনের অ্যাপস গুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। তবে কোন অ্যাপস এ আপনারা টাকা ইনভেস্ট করবেন না। শুধুমাত্র অ্যাপ্সে কাজ করে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনারা রিক্স ফ্রী থাকবেন।

Smoll Worker (স্মল ওয়ার্কার)

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ নেওয়ার জন্য যে ধরনের অ্যাপ গুলো রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম অ্যাপ হলো স্মল ওয়ার্কার। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি অনলাইনের বিভিন্ন ছোট ছোট মাইক্রো জব করতে পারবেন। ছোট ছোট কাজের ভিত্তিতে আপনাকে পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে। সুতরাং এই অ্যাপটি আপনি আপনার মোবাইল ডিভাইসে ইন্সটল করে নিবেন এরপর ইন্সটল হয়ে গেলে সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আপনি সেখানে ছোট ছোট মাইক্রো জব করে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও ওয়াচিং, রিভিউ, এসইও, ওয়েবসাইট ভিজিট ইত্যাদি।

Daraz (দারাজ)

বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি ই-কমার্স বিজনেস প্রতিষ্ঠান হল দারাজ। এই প্রতিষ্ঠানের নাম শুনেননি এরকম লোকের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু আপনি জেনে খুশি হবেন যে বর্তমান সময়ে দারাজ অনলাইন ইনকাম রিলেটেড বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। আপনি চাইলে এখানে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমেও দারাজ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি প্রতিদিন নগদ অর্থ ইনকাম করতে চান তাহলে দারাজ অ্যাপ হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম একটি সুযোগ। এফিলিয়েট প্রোগ্রাম করে ইনকাম করার পাশাপাশি আপনি সেলার একাউন্ট এর মাধ্যমে। 

ডেলিভারি ম্যান হিসেবে ও যুক্ত হতে পারেন। তাছাড়া আপনার যদি কোন ব্যবসা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার পণ্য দিয়ে সেলার একাউন্ট খুলে তারা যে অ্যাড করে সেখান থেকেও বিজনেস করতে পারবেন।

Food Panda (ফুড পান্ডা)

ফুড পান্ডার যদিও হেডকোয়ার্টার্স সিঙ্গাপুর। কিন্তু আমরা এখানে যেহেতু এই অ্যাপে কাজ করে বাংলাদেশে থেকে ইনকাম করতে পারছি সুতরাং বাংলাদেশী অ্যাপ এর তালিকায় আমরা ফুড পান্ডাকে অবশ্যই রাখবো। আপনিও যদি ফুড পান্ডাতে কাজ করতে চান তাহলে এখানে কাজ করে প্রতিদিন ভালো একটি এমাউন্ট জেনারেট করতে সক্ষম হবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফুড পান্ডাতে যারা কাজ করে তারা রাইডার হিসেবে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ প্রথমে আপনাকে ফুড পান্ডা অ্যাপ্লিকেশনটি মোবাইলে ইন্সটল করে নিতে হবে। 

তারপর তাদের প্রসেস অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রিসেশন হয়ে গেলে সেখান থেকে ফুড নিয়ে আপনি আপনার গন্তব্যে ডেলিভারি করবেন। প্রতি ডেলিভারির জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করা হবে।

Pathao App (পাঠাও অ্যাপ)

পাঠাও অ্যাপ এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যেখানে বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ নিতে চাইলে অন্যতম একটি স্বাধীন কাজ হতে পারে এটি। যদিও এগুলো ডলার ইনকাম সাইট নয় আপনি সরাসরি বাংলাদেশী অ্যাপে কাজ করে টাকায় পেমেন্ট নিতে পারবেন। যেহেতু বিকাশে সরাসরি এ ধরনের কাজ করে পেমেন্ট নেওয়া যায় তাই এখানে সুবিধা অনেক। পাঠাও অ্যাপে কাজ করা হলো সাধারণত রাইড শেয়ারিং। যদি আপনার একটি বাইক থাকে সেক্ষেত্রে এই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে আপনি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

এজন্য আপনাকে আপনার মোবাইলে পাঠাও অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে এবং সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর যাত্রী আপনাকে খুঁজে নেবে এবং আপনি যাত্রীকে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছালেই আপনার ভাড়া পেয়ে যাবেন।

Bikroy.com (বিক্রয় ডট কম)

আমরা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরাঘুরি করলেই bikroy.com এর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। আর এই এপ্লিকেশনে কাজ করে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। যদি বিক্রয় ডট কমে আপনি নিয়মিত কাজ করেন তাহলে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করা কোন সমস্যাই নয়। পাশাপাশি আপনার ইনকামকৃত টাকাগুলো আপনি খুব সহজেই বিকাশে উইথড্র দিতে পারবেন। এখানে ইনকাম করার স্ট্যাটাজি হলো আপনি বিভিন্ন গ্রুপ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কিনবেন। 

তারপরে bikroy.com অ্যাপ্লিকেশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেবেন। আপনার কিনা দাম থেকে কিছু টাকা লাভে খুব সহজেই bikroy.com এ পণ্যগুলো সেল করে ভালো টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আজকাল অনেকেই এ ধরনের অ্যাপ থেকে খুব ভালো একটি অ্যামাউন্ট জেনারেট করছে।

Vid Cash App (ভিড ক্যাশ অ্যাপ)

আপনি যদি সত্যিই বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ নিতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে ভিড ক্যাশ অ্যাপ এ আজ থেকেই কাজ শুরু করতে পারেন। যদিও এই অ্যাপ্লিকেশনটি সরাসরি বাংলাদেশী অ্যাপ এর তালিকায় আসবেনা। এর কারণ হলো এটি একটি ডলার ইনকাম সাইট হিসেবে উল্লেখিত। তবু আপনি এই অ্যাপে কাজ করতে পারবেন যেখানে অনলাইন ইনকাম করার জন্য খুব ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা যায়। 

সাধারণত এই অ্যাপে ভিডিও ওয়াচিং, বিভিন্ন টাস্ক পূরণ, রেফার করে ইনকাম, কুইজ খেলে ইনকাম এর মত কাজ রয়েছে। এজন্য আপনাকে গুগলে গিয়ে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে হবে এবং সেখানে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে বিভিন্ন টাস্ক পূরণ করতে হবে।

Flipkart App (ফ্লিপকার্ট অ্যাপ)

ফ্লিপকার্ট অ্যাপ মূলত একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রিলেটেড ওয়েবসাইট। এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে এখান থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ তাদের আওতায় যে প্রোডাক্টগুলো রয়েছে সেগুলো আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে যদি বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন তাহলে সেখান থেকে একটি কমিশন পেয়ে যাবেন। প্রতিদিন ভালো একটি অ্যামাউন্ট জেনারেট করার জন্য আপনি নিশ্চিন্তে এই অ্যাপ এ কাজ করতে পারেন। যেহেতু ফ্লিপকার্টের আওতায় যে প্রোডাক্টগুলো রয়েছে সেগুলো অত্যন্ত ভালো মানের হয়ে থাকে। 

সুতরাং আপনি সেখান থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন শো করবেন। বিজ্ঞাপন গুলো দেখে অর্থাৎ প্রোডাক্টগুলো দেখে অবশ্যই অডিয়েন্স সেগুলো পারচেজ করবে এবং আপনি সেখান থেকে কমিশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

Amazon (আমাজন)

ফ্লিপকার্টের মতোই আরো একটি অন্যতম এপ্লিকেশন অথবা ওয়েবসাইট হল amazon। এখানেও আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও এই অ্যাপগুলো বাংলাদেশী অ্যাপ নয়। এগুলোকে আপনি ডলার ইনকাম সাইট বলতে পারেন। কারণ এখান থেকে আপনি সরাসরি ডলারে টাকা পেয়ে যাবেন। সর্ব প্রথমে আপনাকে আমাজনে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। তারপর সেখান থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করে। 

আমাজনের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে। পণ্য বিক্রি হলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পেয়ে যাবেন। প্রোডাক্টের অ্যাপিলিয়েট লিংকগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সেখান থেকে খুব সহজেই বিক্রি আনা যাবে।

Uber mobile app (উবার মোবাইল অ্যাপ)

আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশগুলো পড়ে থাকেন তাহলে আমরা সেখানে একটি অ্যাপ্লিকেশন এর কথা উল্লেখ করেছিলাম সেটি হল পাঠাও অ্যাপ। বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ নেওয়ার জন্য পাঠাও অ্যাপ যেমন একটি উপযোগী অ্যাপ হিসেবে গণ্য। ঠিক সেরকমই একটি অ্যাপ্লিকেশন হলো উবার মোবাইল অ্যাপ। আপনার যদি একটি মোটরসাইকেল অথবা অটো থাকে সেক্ষেত্রে এ ধরনের অ্যাপ থেকে আপনার ইনকাম করার সুযোগ আছে। 

এরপর আপনার মোবাইলে উক্ত অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন। ইন্সটল হয়ে গেলে সেখানে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ করতে হবে। ঠিক পাঠাও অ্যাপের মতোই আপনি যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইজিলি ইনকাম করতে পারবেন।

Bkash App (বিকাশ অ্যাপ)

বাংলাদেশী অ্যাপ হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় একটি এপ্লিকেশন হলো বিকাশ। টাকা লেনদেন করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে বিকাশ অ্যাপ থেকে ইনকাম করার সুযোগও প্রদান করা হয়েছে। বিকাশ অ্যাপ কে চেনেন না বা এর সঙ্গে পরিচয় নেই এরকম লোক বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। তাই আপনি যদি মনে করেন বিকাশ অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে এখান থেকে আপনার ইনকাম করার সুযোগ আছে। আপনার হাতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে সর্বপ্রথমে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। 
একাউন্টটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে ২৫ টাকা বোনাস দিয়ে দেয়া হবে। বিকাশ থেকে ইনকাম করার উপায় হল রেফার করে ইনকাম। রেফার কোড আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করে, তারা যদি একাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখান থেকে আপনি ১০০ টাকা বোনাস পাবেন।

Nogod App (নগদ অ্যাপ)

বিকাশ অ্যাপের মতোই আরো একটি জনপ্রিয় এপ্লিকেশন হলো নগদ। এখানেও বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ এবং নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন। অর্থাৎ বিকাশে কাজ করে যেমন বিকাশেই পেমেন্ট নেওয়া যাবে ঠিক তেমনি আপনি নগদ্যাপে কাজ করেও নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন। বিকাশের মতো নগদ একটি লেনদেনের মাধ্যম হলেও বর্তমান সময়ে এখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। নগদ অ্যাপে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে, গেম খেলে, ভিডিও দেখে, আয় করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও রেফার করে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশন এও। 

আপনি যদি এই অ্যাপ্লিকেশনের লিংকটি বন্ধুদের মাধ্যমে শেয়ার করেন এবং সেখান থেকে তারা নগদে আপ ইন্সটল করে একাউন্ট খুলে। সেখান থেকেও আপনি ইনকাম করতে পারছেন। এটিকে আপনি ডলার ইনকাম সাইট বলতে পারেন। কারণ এ টাকা গুলো ডলারে আপনার একাউন্টে যুক্ত হতে পারে।

ডলার ইনকাম সাইট

ডলার ইনকাম করার ওয়েবসাইট যদিও বর্তমান সময়ে অনেক রয়েছে। এ ধরনের ওয়েবসাইটে আপনি কাজ করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এর মধ্যে থেকে আপনাকে ভালো সাইট গুলো বেছে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ডলার ইনকাম করতে চান তাহলে ভালো মানের ওয়েবসাইট গুলোকে বেছে সেখানে কাজ করতে হবে। এমনও হতে পারে আপনি সেখানে কাজ করলেন কিন্তু পেমেন্ট উইথড্র করতে পারলেন না। এজন্য আপনাদেরকে আমরা কিছু ডলার ইনকাম সাইট এর কথা জানানোর চেষ্টা করব। বর্তমান সময়ে অনলাইনে বিভিন্নভাবে ডলার ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
অ্যাপ-প্রতিদিন-1000-টাকা-আয়-পেমেন্ট-বিকাশ
আপনি চাইলে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমেও ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এই মুহূর্তে যদি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে এটিও কিন্তু একটি ডলার ইনকাম করার জন্য ওয়েবসাইট। এজন্য আপনাকে ব্লগার ডট কমে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে ডোমেইন এবং হোস্টিং পার্সেস করে নিয়মিত সেখানে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আর্টিকেলে ভিজিটর এর ভিত্তিতে পরবর্তীতে গুগল এডসেন্সে আপনার ডলারগুলো জমা হতে শুরু হবে। এছাড়াও ফেসবুক, ইউটিউব থেকেও ডলার ইনকাম করা যাচ্ছে। 

যদিও বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ এ বিষয়গুলোতে টাকায় পেমেন্ট হয়ে থাকে। কেননা বাংলাদেশী অ্যাপ এ যখন আপনি কাজ করবেন তখন সেখানে টাকায় আপনাকে পেমেন্ট করা হবে। বিদেশের বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইটে যখন কাজ করবেন সেগুলো হবে ডলার ইনকাম সাইট। চলুন আপনাদেরকে কিছু ডলার ইনকাম সাঈদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।
  • Google AdSense
  • Facebook
  • Fiverr
  • Up work
  • Guru
  • Freelancer.com
  • SEO Clark
  • Legit
  • Banana Bucks
  • Shutter Stock
  • Mega Typers
  • Amazon Affiliate
উপরে বর্ণনাকৃত প্রত্যেকটি সাইট থেকে আপনি ডলার ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু এগুলো ডলার ইনকাম সাইট তাই আপনাকে ডলারে পেমেন্ট করা হবে। পরবর্তীতে সেটি আপনি টাকায় কনভার্ট করে ব্যাংক একাউন্ট সহ পেপাল অথবা পেয়োনিয়ার এ ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। পেওনিয়ার এ টাকা ট্রান্সফার হয়ে গেলে সেটা খুব সহজেই বিকাশ অথবা নগদে ট্রান্সফার করা যায়। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এর মত সাইটে কাজ করে প্রচুর ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

তবে এজন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে। এছাড়া আমাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করেও খুব ভালো একটি অ্যামাউন্ট জেনারেট করা সম্ভব।

ডলার ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

আপনি বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ যেমন নিতে পারবেন ঠিক তেমনি কিছু ডলার ইনকাম সাইট রয়েছে যেগুলো থেকে সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট করে থাকে। কিন্তু এ ধরনের পেমেন্ট নিশ্চিত অ্যাপ সম্পর্কে আপনাদের জেনে বুঝে কাজ করা উচিত। এরকম হতে পারে আপনি সেসকল অ্যাপসে কাজ করলেন কিন্তু সত্যিই আর পেমেন্টগুলো বিকাশে আসলো না। কেননা বর্তমান সময় অনেক অ্যাপস তার গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে হারিয়ে গেছে। 

গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অ্যাপগুলো পালিয়ে যায় এরকম সংখ্যা অনেক। তাই আপনাকে জেনে বুঝে সঠিক অ্যাপ এ কাজ করা উচিত। নিচের কিছু অ্যাপ্লিকেশনের নাম তুলে ধরা হলো যারা বিকাশে টাকা পেমেন্ট করে।
  • Clickbank
  • Quick Reward
  • ySense
  • Inbox Dollar
  • Prize Rebel
  • Captcha
  • InstaGc
  • Feature Point
  • Toluna
  • Earnably
আপনারা উপরে প্রদর্শিত প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করে ডলার ইনকাম করে সেটি আপনাদের বিকাশ একাউন্টে খুব সহজে নিতে পারবেন। এগুলো মূলত ডলার ইনকাম সাইড হয়ে থাকে। তাই আপনাদেরকে ডলারে পেমেন্ট করা হবে এবং সেটি পরবর্তীতে আপনারা চাইলে তাকাতে কনভার্ট করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। শুধু কাজ করার পরামর্শ রইলো এখানে খুব ভালো এমাউন্টের টাকা ইনভেস্ট না করাই ভালো। কারণ এই অ্যাপগুলো ডলার ইনকাম সাইট হলেও যেকোনো সময় গুগল থেকে হারিয়ে যেতে পারে। শুধু এখানে কাজ করে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করার অনুরোধ রইলো।

প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট

আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ কিভাবে নিতে হয় সে বিষয়গুলো আমরা জানতে পেরেছি। পাশাপাশি কিছু আরও এপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে আপনি চাইলে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এখানেও আপনাকে অ্যাপসগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে হবে। কারণ অ্যাপসগুলো থেকে ফ্রিতে ডলার ইনকাম করা যায় কিন্তু সেগুলো উইথড্রো করতে গেলে সমস্যা হয়। আজকাল অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে কাজ করে। 
ডলার ইনকাম করা যাচ্ছে কিন্তু সেটি উইড্র করা যাচ্ছে না। তাই আপনাদেরকে আরো কিছু অ্যাপ্লিকেশন সাজেস্ট করব যেখানে আপনি কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং সেটি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
  • Drop Shipping
  • Grab Point
  • Kolotibablo
  • Clixsense
  • Neo Bux
  • Swag Bucks
  • Online Survey
  • Green Panther
  • Micro Job
  • Paid Verts
এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো মূলত ডলার ইনকাম ফাইট হিসেবে পরিচিত। আপনি চাইলে এখানে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে ড্রপ শিপিং এর কাজ করলে সেখানে কোন ভয় থাকবে না বা রিক্স নেই। আপনি যদি ড্রপ শিপিং এর কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার কোন পণ্য থাকতে হবে না। শুধুমাত্র সেল করে আনলেই সেখান থেকে প্রফিট পাওয়া যাবে। বিষয়টা অনেকটা আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মত কাজ করে। এছাড়া অন্যান্য যে সাইটগুলোর কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সেগুলোতেও কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

শেষের কথা

অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে সর্ব প্রথমে আপনাদেরকে ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে। আপনি যে বিষয়ে কাজ করুন না কেন যদি সঠিকভাবে সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। আমরা আপনাদেরকে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ কিভাবে নিতে হয় এবং কোন সাইটগুলোতে কাজ করতে হয় সে সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন প্রদান করার চেষ্টা করেছি। আমরা আপনাদেরকে আবারো অনুরোধ করবো এ সকল অ্যাপসে আপনারা কাজ করে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন। 

যে সকল ডলার ইনকাম সাইট গুলোর নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সেগুলোতে বড় মাপের কোন ইনভেস্টমেন্ট করবেন না। শুধুমাত্র ছোট ছোট মাইক্রো জব টাইপ কাজ করে ইনকাম করার চেষ্টা করুন। কারণ সবগুলো অ্যাপস এর রিভিউ বা হিস্টোরি চেক করা সম্ভব নয়। সুতরাং এ ধরনের অ্যাপ্সের বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার একটি ব্যাপক সুযোগ রয়েছে তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখুন। আর ফ্রিল্যান্সিং টিপস এবং অনলাইন ইনকাম রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url