২০টি অ্যাপ্সে টাকা ইনকাম-কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন

কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন নিতে যাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলের প্রত্যেকটি ইনফরমেশন আপনার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আমরা আমাদের জীবন ধারণের জন্য অর্থ ইনকাম করা থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অর্থ সঞ্চয়। সবকিছুতেই আপনাকে সর্ব প্রথমে ইনকাম করার রাস্তা খুঁজতে হবে। আপনার লাইফস্টাইলকে যদি আরও একধাপ সামনে এগিয়ে নিতে চান তাহলে অর্থ ইনকাম এর বিকল্প অন্য কিছু আর নেই। সকলেই চায় তার পরের প্রজন্ম যেন সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারে। এজন্য প্রত্যেকটি অভিভাবক তার সন্তানদের কথা চিন্তা করেই অর্থ ইনকামের বিভিন্ন রাস্তা খুঁজতে থাকে। 

তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সেই সকল জীবন যুদ্ধের যোদ্ধা ভাইদের জন্য কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন এ বিষয়টি সম্পর্কে প্রত্যেকটি তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এবং ডলার ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট সম্পর্কে আপনাদেরকে সঠিক তথ্যগুলো প্রোভাইড করব। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে একটি সুপ্রসারিত পথ প্রদর্শন করব যা অতিক্রম করার মাধ্যমে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। বাই চলুন আজকে এই আর্টিকেলের অভ্যন্তরে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

প্রত্যেকটি পরিবারের অভিভাবকগণ মনে করে থাকেন যে তার আয় ইনকামের রাস্তা যদি আরও একটু বেশি হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। এর কারণ হলো দ্রব্যমূলের মূল্য স্থিতি এবং টাকার মান কমে যাওয়া। অনেকেই নাম বললে চাকরি করে তাদের জীবন যাপন অতিবাহিত করছে। আবার সেক্ষেত্রেও বর্তমানে প্রতিযোগিতার যুগে এসে চাকরি করে টাকা ইনকাম করা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি এরকম হত যে আপনি কাজ না করেও টাকা ইনকাম করতে পারছেন তাহলে বিষয়টি মন্দ নয়। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে। 

মূলত কাজ না করে ইনকাম করার বিষয়টি সার্বিক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদেরকে অবশ্যই কোন একটি বিষয় সাথে ইনভল্ভ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে। কাজ না করে ইনকাম করার বিষয়টি এজন্য এখানে বলা হচ্ছে যে আপনাকে কোনরকম প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে সরাসরি গিয়ে কাজ না করে ইনকাম করতে পারছেন। যেমন ধরুন আজকাল অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বহু টাকা ইনকাম করছে যা চাকরি থেকে কম নয়। তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করছে তারাও কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে। 

আপনি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অনেক চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন যেখানে কাজ না করে আপনাকে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করার প্রলোভন দেখানো হয়। কিন্তু আমরা যে মেথডগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেগুলো যদি ফলোআপ করতে পারেন তাহলে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন অবশ্যই নেওয়া সম্ভব।

কাজ না করে টাকা ইনকাম পাশাপাশি আপনি যদি ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু মেথড বা উপায় ফলো করতে হবে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো একটি বিষয় রিপিট করছি সেটি হল যে কাজ না করে ইনকাম করার বিষয়টি আসলেই সার্বিক অর্থে ব্যবহার করা হয়। অনলাইন হোক অথবা অফলাইনে আপনি যদি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কাজ করতে হবে। তবে এখানে বিষয়গুলো এরকম হবে যে আপনি বাহিরে কোন কোম্পানিতে বা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। 

আপনি ঘরে বসে যদি ইনকাম করেন সেটিও কিন্তু কাজের অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং আমরা আজকে জানার চেষ্টা করব যে কোনো রকম প্রতিষ্ঠান অথবা অফিস আদালতে না গিয়েও কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়টি সম্পর্কে। আপনাদেরকে আমরা সেই তথ্যগুলো প্রদান করার চেষ্টা করব যে বিষয়গুলোতে আপনি কাজ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। আমরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে এসে ডিজিটাল যুগে অবতীর্ণ হয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় ছোট ছোট কাজ করে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কাজ করা যাবে যার মাধ্যমে টাকা ইনকাম সম্ভব। 

যে ধরনের অনলাইন সাইট রয়েছে যেখানে টাকা ইনকাম করা যায় সে সাইটগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আবার অনেক অনলাইন সাইট রয়েছে যেখানে ফেক কাজ করে কোন টাকা ইনকাম সম্ভব হয় না সেটিও জানতে হবে। তাহলে আমাদেরকে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন নিতে চাইলে অবশ্যই সঠিক ওয়েবসাইট বা apps গুলো খুঁজে বের করতে হবে। এ ধরনের অ্যাপ্সে ভিডিও দেখে এবং এড দেখে ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করা হয়। আবার তাদের রেফারাল লিংক শেয়ার করেও সেখান থেকে এক্সট্রা ইনকাম করার সুযোগ থাকবে। 

ফাইবার এমন একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে ঘরে বসে কাজ করে আজকাল অনেকেই কোটিপতি বলে গেছে। তাদের লাইফস্টাইল একদম সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে শুধুমাত্র এই একটি মার্কেটপ্লে থেকে। তবে আপনি এখান থেকে যদি ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি স্কিলে প্রথমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। যেমন ধরুন আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার অথবা ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক কাজে সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে আজকাল ওয়েবসাইটের ডিমান্ড অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

তাই আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইন নিয়েও কাজ করতে পারেন। সাধারণত ফাইবারে ওয়েব ডেভলপার, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ডিজিটাল মার্কেটার, ওয়েব ডিজাইন এ ধরনের কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর সকল সেক্টর এবং কাজ সম্বন্ধে এ টু জেড ধারণা পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আরো তথ্য এবং বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ফাইবারের পাশাপাশি আরও একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো upwork। যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করছেন তাদের কাছে এই নামটি একটি অধিক পরিচিত নাম। যদি কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং এ সকল বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে এই মার্কেটপ্লেসটিতে প্রোফাইল ক্রিয়েট করে কাজের সন্ধান করতে পারেন। সাধারণত আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে বর্তমান সময়ে বিট করে এবং কানেক্ট ক্রয় করে কাজের অর্ডার নিতে হয়। তাই এই মার্কেটপ্লেসে যদি কাজের অর্ডার পেতে চান। তাহলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে কিভাবে আপওয়ার্ক মার্কেট থেকে কাজের অর্ডার নিতে হয়।

সে সম্পর্কেও এ টু জেড ধারণা রাখতে হবে। যদিও পূর্বে এই মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের অর্ডার নেওয়ার বিষয়টি সহজ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এসে যখন কাজের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তখন কিন্তু তারা তাদের স্ট্যাটেজিতে আমূল পরিবর্তন এনেছে। তাই আপনাকে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন যদি টাকা দিতে চান তাহলে এ সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। সাধারণত আপনি যদি কোন একজন টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে কাজের অর্ডার পান তাহলেই বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া সম্ভব হবে।

ওয়াই সেন্স মূলত একটি অ্যাপ যেখানে কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যাবে। ওয়াই সেন্স অ্যাপসে যদি আপনি কাজ করেন তাহলে বিভিন্ন রকম ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। অ্যাপটিতে কাজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে কাজ সেও সেটি হল ভিডিও দেখে ইনকাম, এড দেখে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট পাশাপাশি অ্যাপ ডাউনলোড করার রেফার লিংক শেয়ার করার মাধ্যমেও ইনকামের সুযোগ রয়েছে। আবার এই অ্যাপসে আরও বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট টাস্ক ফিলাপ করতে দেওয়া হয় যেগুলো কমপ্লিট করেও ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তাই এই অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিবেন। একাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় অবশ্যই আপনার সঠিক ইমেইল এড্রেসটি প্রদান করবেন। পাশাপাশি যে তথ্যগুলোর প্রদান করবেন সেগুলো যেন সঠিক হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে গেলে আপনি অ্যাপস এ প্রবেশ করলে বিভিন্ন কাজের বর্ণনা সহিত টাস্ক দেখতে পাবেন। এরপরে আপনি কাজ শুরু করবেন এবং ধীরে ধীরে আপনার একাউন্টে টাকা আসতে থাকবে।

ফাইবার, আপওয়ার্ক এর মত আরো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো লেজিট। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে অধিক প্রতিযোগিতা থাকলেও এই মার্কেটপ্লেসে প্রতিযোগিতা একটু কম রয়েছে। তাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার যে ঘরে বসে ইনকাম করার কথা ভাবছে তার জন্য এটি হতে পারে অন্যতম একটি মার্কেটপ্লেস। সাধারণত এই মার্কেটপ্লেসে এসইও (SEO) রিলেটেড কাজ প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি একজন সার্ক ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসিও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে এখানে অনেক কাজের সুযোগ পাবেন। 

লেজিট মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের অর্ডার নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতই অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। তারপর পোর্টফোলিও এমনভাবে সাজাতে হবে যেন বায়ার আকৃষ্ট হয় এবং খুব সহজেই কাজ করতে পারে যে আপনি কোন ধরনের সার্ভিস সেল করতে চান। বিকাশে যদি পেমেন্ট নিতে চান অর্থাৎ কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন এ বিষয়টিতে আপনাকে অবশ্যই এ ধরনের ওয়েবসাইটে যারা পূর্বে থেকে কাজ করছে তাদের কাছ থেকে কাজ নিতে হবে।

পরবর্তীতে আপনি কাজ জমা দিলে সেই টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সাররা আপনাকে বিকাশে পেমেন্ট করবে।প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপ পাবেন যেগুলোতে বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন বিকাশে পেমেন্ট এবং নানান কথা। সে সকল অ্যাপসে সময় নষ্ট না করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করুন এবং এ ধরনের টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করে স্বাবলম্বী হন।

যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করে তারা অবশ্যই ফটোশপের কথা শুনে থাকবে। ঠিক তেমনি ফটোশপের মতোই আপনি সকল ধরনের কাজ এবং ক্রিয়েটিভিটি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন canva তে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ক্যানভা প্রো ক্রয় করতে হবে। গ্রুপভিত্তিক ক্রয় করে নিবেন তাহলে খরচ কম পড়ে যাবে। অর্থাৎ ক্যানভা ক্রয় না করে ফ্রি মোডে যদি কাজ করেন তাহলে অনেক ফিচার পাবেন না। ফটোশপ দিয়ে যেমন বিভিন্ন ধরনের ফটো এডিট এবং অন্যান্য গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করা হয় ঠিক তেমনি ক্যানভা দিয়েও সে মাপের কাজ করা সম্ভব। 

যেমন ধরুন কোন একজন ইউটিউব চ্যানেলের মালিক তার একটি ভিডিওর থামনেল প্রয়োজন। আপনি ক্যানভা ডিজাইনার হয়ে থাকলে সেই কাজটি করে দিয়ে একটি পারিশ্রমিক অবশ্যই পেয়ে যাবেন। ঠিক এরকমই অনলাইনে ছোট ছোট কাজ রয়েছে যা আমাদের দেশের অভ্যন্তরে কমপ্লিট করে ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া সম্ভব। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য সহকারে কাজ করে যাওয়া এবং একটি সময় দেখবেন আপনি সেই কাজেই সফলতা অর্জন করতে পারছেন।

আমরা এ পর্যন্ত এসে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন নেওয়ার বিষয়টি আলোচনা করার খাতিরে আপনাদের সাথে যে অ্যাপ্স এবং ওয়েবসাইটের কথা তুলে ধরেছি। সেগুলো থেকে আপনি যেমন সরাসরি একাউন্ট করে টাকা ইনকাম করতে পারছেন আবার ঠিক তেমনি ওই সকল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যারা পূর্বে থেকে টপ রেটেড হিসেবে কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে কাজের অর্ডার নিয়েও বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারছেন। 

আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে আপনি কাজের পেমেন্ট সরাসরি বিকাশে পাবেন না। এজন্য আপনাকে পেওনিয়ার একাউন্ট যুক্ত করতে হবে। এরপরে পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

ডলার ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার যে কাজগুলো করা হয় সেগুলো সাধারণত অ্যাপস ভিত্তিক হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক আমরা কিন্তু আর্টিকেলের শুরুতেই একটি বিষয় আপনাদেরকে বলেছিলাম সেটি হল অ্যাপ্সে কাজ করার চাইতে ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সার্ভিস সেল করা সবচেয়ে উত্তম। কিন্তু আপনার যদি কোন স্কিল না থাকে তাহলে কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু সেখান থেকে অধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে না সেটা আগেই বলে রাখি। ধৈর্য সহকারে যদি আপনি কাজগুলো প্রতিনিয়ত করে যান। 

তাহলে একটি সময় মোটামুটি একটি পেমেন্ট কালেকশন করতে পারবেন। এজন্য আপনাদেরকে সেই অ্যাপসগুলো সম্পর্কে জানতে হবে যেগুলোতে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যাবে। অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন দেওয়া যায় না সেগুলো এভোয়েড করতে হবে। আমরা রিসার্চ এর ভিত্তিতে কিছু অ্যাপস এর নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করছি যেগুলোতে আপনি কাজ করতে পারেন।

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সঠিক অ্যাপ গুলোতে কাজ করা। ঘরে বসে না থেকে যদি আপনি বিভিন্ন রকম অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে কাজ করেন তাহলে ইনকাম করতে পারবেন পাশাপাশি বিকাশে দ্রুত পেমেন্ট নিতে পারবেন। কাজ করার পরে আরো একটি বিষয় আমাদের সামনে আসে সেটি হল পেমেন্ট ইস্যু। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এপ্স গুলোতে কাজ করার পর পেমেন্ট পেন্ডিং থেকে যায়। তাই আপনাকে সেই সকল অ্যাপসে কাজ করতে হবে যেখানে পেমেন্ট নিয়ে কোন ইস্যু হবে না। 

অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে কাজ করলে দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খুব সহজেই ইনকাম হবে। তাহলে আপনি যদি ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এবং কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন নেওয়ার বিষয়টি ভাবছেন তাহলে নিচের বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন। আমরা এখন সে সকল অ্যাপস এর নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করছি যেগুলোতে কাজ করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যাবে।

উপরে বর্ণনাকৃত এই এপ্স গুলো আপনি প্লে স্টোর এবং google এ পেয়ে যাবেন। অ্যাপসগুলোর নাম লিখে সার্চ দিলে আপনাদের সামনে সেটি চলে আসবে এবং ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন। এরপর সেখানে সঠিক ইমেইল এড্রেস অথবা অন্যান্য তথ্যগুলো ইনক্লুড করে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে নিবেন। সঠিকভাবে একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে গেলে সেদিন থেকেই কাজ শুরু করতে পারেন। ছোট ছোট মাল্টি টাস্ক গুলো কমপ্লিট করে আপনি ইনকাম শুরু করবেন। ধীরে ধীরে সেখানে টাকা জমতে শুরু করবে। পরবর্তীতে সেটি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস এবং ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিতে চাইলে যে ধরনের অ্যাপসের কথা বলা হবে সবগুলোতেই কাজ করা যাবে। তবে এর মধ্যে প্লে স্টোরে কিছু ফেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে সাইনআপ করার পরে ৫০০ টাকা বোনাস, রেফার করে ইনকাম এ ধরনের কাজের কথা বলা হয়ে থাকে। সাধারণত সেই সকল অ্যাপসে কাজ করা গেলেও টাকা ইনকাম বা উইড্র সম্ভব হয় না। সার্বিক অর্থে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন নিতে চাইলে সেই সকল অ্যাপসেই কাজ করা উচিত। নিচে আরো কিছু অ্যাপস এর নাম দেওয়া হল যেগুলোতে আপনি কাজ করে দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

আমরা উপরে যে অ্যাপস গুলোর নাম আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম অ্যাপসের নামের উপরে টাচ করলেই তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনাদেরকে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে সঠিক তথ্যগুলো প্রদান করে সাইন আপ করবেন এবং একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে গেলে কাজ শুরু করবেন। প্রথমেই বড় কাজ না করে ছোট ছোট টাস্ক গুলো কমপ্লিট করার চেষ্টা করুন যেখান থেকে আর্নিং কম আসলেও আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে।

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার অন্যতম আরেকটি মাধ্যম হলো এড দেখে ইনকাম। কিছু অ্যাপস রয়েছে যেখানে আপনি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার পর সেখানকার প্রদত্ত অ্যাডগুলো দেখেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিষয়টি আসলে এভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে। সর্ব প্রথমে বিভিন্ন কোম্পানির মালিক পক্ষ তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস এর প্রচারের জন্য অ্যাপসের মালিকপক্ষকে টাকা প্রদান করে থাকে। তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনটি তাদের apps এর মাধ্যমে প্রচার করার কথা বলে। 

এই অ্যাপসের কর্তৃপক্ষ যারা তাদের অ্যাপসে প্রবেশ করবে এবং নিয়মিত অ্যাড শো করবে তাদের একাউন্টে প্রদত্ত অর্থ থেকে কিছু অর্থ প্রদান করে দিবে। আর এভাবেই এড দেখে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত। নিচে সেই সকল অ্যাপস এর নাম দেওয়া হলো যেগুলোতে এ ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো একবার জানাচ্ছি যে এ ধরনের কাজ করে আপনি খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সারাদিন এড শো করার পর হয়তো নামমাত্র কিছু টাকা আপনাকে প্রদান করা হবে।

তাহলে সার্বিক অর্থে কেউ যদি কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন নিতে চায় তাহলে উপরে বর্ণনাকৃত প্রত্যেকটি অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিট করে কাজের সন্ধান করতে পারে। অবশ্যই অ্যাপগুলো সঠিকভাবে ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে এবং পাশাপাশি সঠিকভাবে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে গেলে স্টেপ বাই স্টেপ প্রতিদিন কাজের টাস্ক গুলো কমপ্লিট করে যেতে হবে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে যখন একাউন্টে ডলার অথবা টাকা জমতে শুরু করবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেটি উইথড্র করা যাবে।

সকলেই চাই তাদের জীবনকে আরো সুপ্রসারিত করার লক্ষ্যে এক্সট্রা ইনকাম করার। সে বিষয়টিকেই কিন্তু মাথায় রেখে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কাজ না করে ইনকাম বিকাশে প্রতিদিন কিভাবে নেওয়া যায় সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য যে অ্যাপসগুলোর বিষয়বস্তু আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি অবশ্যই জেনে বুঝে কাজ করবেন। আবার অনেক সময় সেই সকল অ্যাপসে কোনরকম বড় এমাউন্টে টাকা ইনভেস্ট করবেন না। এখানে শুধু ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করুন। 

কেননা এ সকল অ্যাপসে যদি টাকা ইনভেস্ট করে রাতারাতি বড়লোক হতে চান তাহলে আপনার সকল ইনভেস্ট কৃত টাকা জলে যেতে পারে। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে যদি অনলাইন থেকে আসলেই ইনকাম করতে চান তাহলে নিজের একটি স্কিল ডেভেলপ করুন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটি সেক্টর নিয়ে কাজ শুরু করুন দেখবেন আপনি অনলাইন জগ থেকে অবশ্যই কিছু না কিছু ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টিপস এবং অনলাইন ইনকাম রিলেটেড যে কোন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।