এসইও কি এবং এসইও শিখতে কতদিন লাগে জানুন বিস্তারিত

এসইও শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার যে কিনা সবেমাত্র এই সেক্টরে পদার্পণ করেছে তাদের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এসইও এর বিষয়টি বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ে এসে সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু তাদের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইটের প্রয়োজন পড়ে। আর একটি ওয়েবসাইট মেইন্টেন থেকে শুরু করে সেটিকে সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কে নিয়ে আসার জন্য অবশ্যই একজন এসইও এক্সপার্ট এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না হওয়ায় আমরা সফলকামি হতে পারি না। 
এসইও-শিখতে-কতদিন-লাগে
তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এসইও শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। পাশাপাশি এসইও কি এবং Seo শিখতে কি কি লাগে এ বিষয়গুলো সম্পর্কী ও আপনাদেরকে সঠিকভাবে জানানো হবে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সাকসেসফুল হওয়ার একমাত্র চাবিকাঠি হল পরিশ্রম এবং ধৈর্য। এই দুইটি পথ অবলম্বন করার মাধ্যমে এবং এসইও শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে এপ্লাই করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এখানে সাকসেসফুল হতে পারবেন। তাই এসইও এর বিষয়ে সকল তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি বিষয় আপনাকে অনুরোধ সহকারে আয়ত্ত করতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র

এসইও কি?

এসইও (SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search engine Optimization) হল সার্চ ইঞ্জিনের বিভিন্ন ধরনের টার্মস এন্ড কন্ডিশন, নিয়মকানুন প্রয়োগ করার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ ইঞ্জিন উক্ত ওয়েবসাইটটিকে তাদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সেটিকে তালিকার শীর্ষে উঠিয়ে নিয়ে আসে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। একটি ওয়েবসাইটকে রেংক করানোর ক্ষেত্রে এসইও এর ভূমিকা অপরিসীম। যদিও এসইও এর প্রকারভেদ অনুসারে প্রত্যেকটি কাজ আলাদা হয়ে থাকে। 
কিন্তু প্রত্যেকটি পার্ট একটি ওয়েবসাইটে এপ্লাই করতে হয় যার ফলে কিন্তু ওয়েবসাইট গুলো সার্চ ইঞ্জিনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থিত হয়। সার্চ ইঞ্জিন বলতে সাধারণত গুগল, বাইডু, বিং, ইয়াহু এগুলোকে বোঝানো হচ্ছে। আমরা যখন কোন একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করি এবং সেখানে ব্লগ অথবা আর্টিকেল পাবলিশ করি সেটিকে রেংক করানোর জন্য এসইও এর শরণাপন্ন হতে হয়। যখন আমরা কোন কিছু লিখে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে সার্চ করি তখন আমাদের সামনে যে পেজ শো করানো হয় সেগুলোকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ (Search Engine Result Page)। 

আর এই রেজাল্ট পেজের উপরে নিয়ে আসার কাজ একমাত্র করে থাকে এসইও। যদি সঠিকভাবে অপটিমাইজেশন করা হয় এবং সেটি সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তাহলে অবশ্যই সেই পোস্টকে রেঙ্কে নিয়ে যাবে। যখন একটি আর্টিকেল লেখার পর সেটি সম্পূর্ণভাবে এসইও করে পাবলিশ করা হয়। তখন সার্চ ইঞ্জিন সেই পোস্টকে কিছুদিনের জন্য রেঙ্ককে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে যদি পাঠক বা অডিয়েন্সের কাছে সেটি যোগ্য মনে হয় তাহলে সেটিকে অনেকদিন পর্যন্ত রেঙ্কে রাখা হয়। আর এই হিসেবটি করা হয় রিডিং ডিউরেশন এর উপর ভিত্তি করে। 

একজন পাঠক ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে প্রবেশ করে কতক্ষণ সেখানে টাইম স্পেন্ড করলো সেটির উপর নির্ভর করবে রিডিং ডিউরেশন। যদি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই সে পোস্টকে সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কে রেখে দেবে। আর এজন্যই একজন এসইও এক্সপার্ট এর ক্ষেত্রে এসইও শিখতে কতদিন লাগে এটি অনেকটা নির্ভর করে তার দক্ষতার উপরে।

এসইও শিখতে কতদিন লাগে

সার্চ ইঞ্জিন গুলো সব সময় নিজেদেরকে আপডেট করে ফেলে। যার ফলে একজন এসইও এক্সপার্ট কে আপডেটের ভার্সন অনুযায়ী এসইও শিখতে হয়। পরবর্তীতে সার্চ ইঞ্জিন আপডেট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও আপডেট করে নিতে হয়। যেমন ধরুন আপনি যদি এখন ২০১৫ সালের মেথড এপ্লাই করে এসইওর কাজ করতে চান তাহলে আপনার পোস্ট অথবা ওয়েবসাইট কখনোই রেঙ্ক করবে না। সুতরাং একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার বা যে কিনা এসইও শিখতে চায় তার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে এসইও কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানতে হবে। 

তাছাড়া এসইও শিখতে কার কতদিন সময় লাগবে এটি নির্ভর করবে তার শেখার আগ্রহের উপর এবং দক্ষতার উপর। যদি কোন ব্যক্তি খুব সহজেই একটি বিষয় ক্যাপটার করতে পারে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে কম সময় লাগবে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ক্যাপচার করার ক্ষমতা অনেকাংশেই কম তার ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগবে। এসইও শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই নতুন নতুন টেকনিক, গুগলের আপডেট, ওয়েবসাইটের টেকনোলজি সম্পর্কে নিজেকে আপডেট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 

যদি কেউ একদম জিরো থেকে শুরু করে সেক্ষেত্রে তার শুধুমাত্র এসইও এর বেসিক বিষয়গুলো শিখতেই কমপক্ষে ৩ মাসের মতো সময় লেগে যাবে। পরবর্তীতে নিজেকে অ্যাডভান্স লেভেলে নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই আরো কিছুদিন সময় ইনভেস্ট করতে হবে। বলাবাহুল্য যে একজন এসইও এক্সপার্ট যদি এডভান্স লেভেলের বিষয়গুলো রপ্ত করতে চায় সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ১ বছর সময় নিয়ে আসতে হবে। যেহেতু অনলাইন ইনকাম রিলেটেড সকল কিছুই ধৈর্যের বিষয় এসিও এর ক্ষেত্রেও আপনাকে ধৈর্য সহকারে শিখতে হবে। 

তবে এ বিষয়টি ও মাথায় রাখতে হবে যে আপনি এসইও যদি একবার শিখেন সেটি বারবার আপডেট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকেও নতুন নতুন বিষয় শিখতে হবে। এর মূল কারণ হল সার্ক ইঞ্জিন গুলোর অ্যালগরিদম সবসময়ই চেঞ্জ হয় এবং আপডেট হয়। চলুন একটি ছকের মাধ্যমে আমরা এসইও শিখতে কতদিন লাগে বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

          এসইও স্কিল

এসইও শিখতে কতদিন লাগে

          শিক্ষনীয় বিষয়

        


         বেসিক লেভেল

               


                ২-৩ মাস

  • এসইও কি 

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 

  • এসইও কিভাবে কাজ করে 

  • কিওয়ার্ড রিসার্চ 

  • অন পেজ এসইও

  • অফ পেজ এসইও 



        এডভান্স লেভেল

             


               ৬-১২ মাস

  • টেকনিক্যাল এসইও 

  • অ্যাডভান্স ফ্রেন্ডলি এসইও 

  • কনটেন্ট ক্রিয়েশন

  • LSI কিওয়ার্ড ব্যবহার 

  • কম্পিটিটর এনালাইসিস



        প্র্যাক্টিক্যাল লেভেল

               


                ৪-৮ মাস

  • ওয়েবসাইট এসইও 

  • অ্যাডভান্স কিওয়ার্ড রিসার্চ

  • ওয়েবসাইট স্ট্রাটেজি 

  • ওয়েবসাইট ক্রিয়েশন

  • এসইও প্র্যাকটিস 


আপনি উপরের বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা এখানে প্রত্যেকটি লেভেলের সময় অনুযায়ী কি কি শিখতে হবে সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি। এসইও শিখে এ সেক্টর থেকে কিছু করতে হলে প্র্যাকটিস করার বিকল্প অন্য কিছু আর নেই। অবশ্যই আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে এবং সেখানে নিয়মিত এসইও প্র্যাকটিস করতে হবে। এক বছর যদি সময় দেন তাহলে এর পরে আপনি মার্কেটপ্লেস এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে অবশ্যই কাজের অর্ডার পাবেন বলে আমরা মনে করি। আশা করি এসইও শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা মোটামুটি অবগত হতে পেরেছেন।

Seo শিখতে কি কি লাগে

এসইও শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন। আমরা আমাদের আর্টিকেলে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে খোলাসা হতে পারেন। আমরা ইতিমধ্যে এসইও শেখার ক্ষেত্রে কত দিন সময় লাগে সে বিষয়ে সম্পূর্ণ একটি ধারণা পেয়েছি। তাহলে আমাদের সামনে আরো একটি প্রশ্ন চলে আসে সেটি হল Seo শিখতে কি কি লাগে। চলুন তাহলে এ বিষয়টি সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে ধারণা

এসইও শিখার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে যে বিষয়টি আমাদেরকে জানতে হবে সেটি হল সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে সেটি। অর্থাৎ যতগুলো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে সবগুলো একটি অ্যালগরিদম মেইনটেইন করে পরিচালিত হয়। আর আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে চান তাহলে এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন এর বট বা ক্রলার বিভিন্ন ওয়েবপেজ স্ক্যান করে এবং তাদের ডাটা গুলো স্টোর করে রাখে। এটি হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে সার্চ ইঞ্জিন এর বটগুলো নতুন আপডেটেড কন্টেনগুলো খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারে। 
ক্রলিং পরে যে বিষয়টি সামনে আসে সেটি হল ইনডেক্সিং এবং রেংকিং। ইনডেক্স সিম এর মাধ্যমে ক্রলকৃত ডাটাগুলো ডাটাবেসে সংরক্ষিত হয় এবং ranking এর মাধ্যমে কনটেন্টের গুণগত মানের পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে স্থান দেওয়া হয়। ইনডেক্সিং এর মাধ্যমে কেবলমাত্র সার্চ ইঞ্জিন প্রাসঙ্গিক কন্টেনগুলো খুঁজে পায় এবং সেটি অডিয়েন্সের কাছে প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে সেই পোস্টকে র‍্যাঙ্ক দেওয়া হবে কিনা সেটি সার্চ ইঞ্জিন পোস্ট এর কিওয়ার্ড, কন্টেন্ট এর মান এবং ব্যাকলিংক এর উপর ভিত্তি করে রেংকিং প্রদান করে থাকে।

কীওয়ার্ড রিসার্চ

কিওয়ার্ড রিসার্চ হল এসইও শিখতে কতদিন লাগে এবং কি কি বিষয় শিখতে হবে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ আপনি যদি এসইও শিখতে চান তাহলে অবশ্যই এসইও কি এবং কীওয়ার্ড রিসার্চ খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। সাধারণত কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে জানতে পারা যাই যে দর্শক মূলত কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য করে সার্চ করে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু আপনি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন। আপনার কনটেন্ট এর সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সার্ক ইঞ্জিনে ভালোভাবে রেঙ্ক করতে পারে এ ধরনের কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। 

আর এজন্যই একজন বেসিক লেভেলের ফ্রিল্যান্সারকে এসইও কি এবং এসইও এর কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা নিতে হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস যেমন Ahrefs, Semrush, Ubersuggest, এবং MOZ সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। এই টুলস গুলো ব্যবহার করে আপনাকে বের করতে হবে কিওয়ার্ডের ভলিউম, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ।

অন পেজ এসইও

এসইও এর প্রকারভেদের মধ্যে সর্ব প্রথমে যেটি রয়েছে সেটি হল অন পেজ এসইও। ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে নিয়ে আসার জন্য অন পেজ এসইও এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আপনি যদি একটি আর্টিকেল অন পেজ এসইও এর নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করে থাকেন তাহলে সেটির রেঙ্ক পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকবে। মূলত অন পেজ অপটিমাইজেশন করার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ ইঞ্জিন আপনার কনটেন্ট এর গুণগত মান এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত কিনা সেটি বুঝতে পেরে র‍্যাঙ্ক দিতে সাহায্য করে। 

অন পেজ অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই টাইটেল ট্যাগ খুব ভালো মানের হতে হবে। একটি ওয়েব পেজের শিরোনাম যদি স্পষ্ট এবং সঠিক কিওয়ার্ড যুক্ত করা হয় তাহলে সেটি সবচেয়ে বেশি র‍্যাঙ্ক পাওয়ার যোগ্য হিসেবে গণ্য হয়। এছাড়া মেটা ডিস্ক্রিপশনেও সঠিক এবং সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা দিতে হবে। হেডিং ট্যাগ, ইমেজ অপটিমাইজেশন কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন, ইউআরএল স্ট্রাকচার সবগুলোই সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে যাতে একটি পরিপূর্ণ আর্টিকেল বা পোস্ট তৈরি করা যায়।

অফ পেজ এসইও

অন পেজ এসইও এর পরবর্তী যে বিষয়টি আমাদের সামনে আসবে সেটি হল অফ পেজ অপটিমাইজেশন। অফ পেজ অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে ব্যাকলিংক বিল্ডিং শিখতে হবে। অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাইটে লিংক যুক্ত করে ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ করা হয়। আর এ বিষয়টি করার পরিপেক্ষিতে আপনার ওয়েবসাইটের অথরিটি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি আরও বেশি ট্রাফিক গেইন করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা যেতে পারে। এটিও অফ পেজ এসইও এর অন্তর্ভুক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি আপনার কনটেন্ট এর লিংক প্রচার করতে পারেন। 

এছাড়া অফ পেজ এসইও এর মধ্যে রয়েছে অন্যতম একটি উপায় সেটি হল গেস্ট পোস্টিং। গেস্ট পোস্টিং সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটি হল ফ্রী গেস্ট পোস্টিং এবং দ্বিতীয়টি হল পেইড গেস্ট পোস্টিং। অন্যান্য ব্লগ সাইটে গেস্ট পোস্ট লিখলে আপনার সাইটের ব্যাকলিন তৈরি হবে এবং সেখানে আরো বেশি ট্রাফিক গেইন হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি পেইড গেস্ট পোস্টিং করেন তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

টেকনিক্যাল এসইও

আমাদের আজকের মূল বিষয়বস্তু ছিল এসইও কি এবং এসইও শিখতে কতদিন লাগে যা আমরা উপরের অংশে জানতে পেরেছিলাম। এখন আমরা আলোচনা করছি যে এসইও শিখতে কি কি লাগে সেই বিষয়টি সম্পর্কে। তারই ধারাবাহিকতায় টেকনিক্যাল এসইও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত যা আপনার এসইও জার্নিকে আরও একধাপ সামনে এগিয়ে নিবে। টেকনিক্যাল এসইও সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত দিকগুলো অপটিমাইজ করে থাকে। যেমন আপনার ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ তৈরি করা, পোস্টকে ইনডেক্স করা, এরোর সলভিং। 

এগুলো মূলত টেকনিক্যাল এসইও এর কাজ। আবার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কন্ট্রোল করার ক্ষেত্রেও টেকনিক্যাল এসইও এর ভূমিকা অপরিসীম। দ্রুত লোড নেওয়ার বিষয়টি একজন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা কে উন্নত করে। যা পরবর্তীতে আপনার বিষয়বস্তুকে সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কে নিয়ে যায়। আবার মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন, রিডাইরেক্ট, SSL সার্টিফিকেট, 404 ERROR এ কাজগুলো টেকনিক্যাল এসি ও এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।

এসইও শুরু করবেন যেভাবে

এসইও শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমরা আরো একটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হই সেটি হল এসইও শুরু করব কিভাবে। আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশে লক্ষ্য করেন আমরা এসইও শিখতে কি কি লাগে এ বিষয়টিতে পাঁচটি স্টেপে বিস্তারিত তথ্যগুলো ইনপুট করেছি। আপনি সেই অনুযায়ী সর্ব প্রথমে এসইও কি বা সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে বেসিক লেভেলের বিষয়গুলো জেনে নিবেন। এরপরে কিওয়ার্ড রিসার্চ, অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও এগুলো সম্পর্কেও ধীরে ধীরে বিস্তারিতভাবে জ্ঞান আহরণ করতে থাকবেন। দ্রুত এসিও শেখার ক্ষেত্রে আমরা দুইটি উপায় অবলম্বন করতে পারি।

কোর্স বা ইন্টার্নশিপ

এসইও খুব ভালোভাবে এবং দ্রুত শিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং কাজ করে শিখতে হবে। তবে অবশ্যই আপনি একটি ভাল আইটি সেন্টার দেখে এসইও কোর্স করতে পারেন। বিশেষ করে খালিদ ফারহান এসইও কোর্স সবচেয়ে ভালো কোর্স বলে আমরা মনে করি আপনি সেটি করতে পারেন। আবার অন্যদিকে কোন একটি এসইও এক্সপার্ট এর আওতায় ইন্টার্নশিপ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আপনাকে ছোট ছোট টাস্ক দেবে। যা আপনার পরবর্তীতে অ্যাডভান্স লেভেলে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

ওয়েবসাইট তৈরি

কোথাও কোর্স না করে আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখে যদি নিজে নিজে শিখে সেটি এপ্লাই করতে পারেন তাহলে সেটি আরো ভালো হয়। তবে এজন্য আপনাকে নিজে নিজে বিভিন্ন বিষয় রিসার্চ করতে হবে। প্রতিনিয়ত আপনাকে চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হতে হবে। নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ডোমেইন এবং হোস্টিং পারচেজ করে এসইও প্র্যাকটিস করতে পারেন। এতে করে যদি আপনার ওয়েবসাইটি র‍্যাঙ্ক এ যায় সেখান থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে যেমন টাকা ইনকাম হবে। ঠিক তেমনি আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে গণ্য হবেন।

এসইও ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ

এসইও ক্যারিয়ার একটি সম্ভাবনা ময় ক্যারিয়ার হিসেবে উল্লেখ করা যায়। আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে এসইও শিখতে কতদিন লাগে বা কত টাকা ইনভেস্ট করতে হয় সে বিষয়ে চিন্তা না করে আজ থেকে কাজ শুরু করুন। বর্তমানে আপনি একটি জিনিস লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক করে ফেলেছে। পাশাপাশি অনলাইন প্লাটফর্মে বিজনেস স্ট্রাটেজি বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ওয়েবসাইট নিয়ে ব্যাপক পরিমাণ কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। 
এসইও-শিখতে-কতদিন-লাগে
গুগলে কোন একটি প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য যদি আপনি সার্চ দেন তাহলে দেখবেন কয়েক হাজার ই- কমার্স ওয়েবসাইট আপনার সামনে চলে এসেছে। তাহলে এত এত ওয়েবসাইট যেহেতু রয়েছে তাহলে আপনার কাজেরও সুযোগ অবশ্যই থাকবে। কারণ প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট রেংকিং প্রত্যেকটি বিষয় একজন এসইও এক্সপার্ট করে থাকে। তবে কাজ পেতে হলে এবং এখান থেকে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য এবং পরিশ্রমে সহিত কাজ করতে হবে। 
পাশাপাশি প্রাথমিক অবস্থায় টাকা ইনভেস্ট করার মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এর কারণ হলো এসইও কোর্স করা থেকে শুরু করে কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এবং আরো অন্যান্য টুলস ক্রয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা করা লাগবে। তবে এ বিষয়গুলো মাথায় না নিয়ে যদি শুধুমাত্র এসইও ক্যারিয়ার এর কথা ভেবে থাকেন তাহলে আমরা আপনাকে অবশ্যই এই সেক্টরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জ্ঞাপন করছি।

শেষের কথা

আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এসইও কি এবং এসইও শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমরা আপনাদের কাছে এই আর্টিকেলের অভ্যন্তরে যে তথ্যগুলো প্রদান করেছি তা আপনাদের অনেকটাই কাজে আসবে। আমরা এখানে শুধুমাত্র পথ প্রদর্শন করেছি বাকি পথ পাড়ি দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। শুধুমাত্র আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি চুপ করে বসে থাকেন তাহলে কখনোই সফল কামি হতে পারবেন না। এজন্য সেই অনুযায়ী আপনাকে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে। 

একজন এসইও এক্সপার্ট এর চাহিদা শুধুমাত্র বিদেশে নয় দেশের বিভিন্ন লোকাল কোম্পানিতে ও কাজের সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেমন কাজ করতে পারেন আবার ঠিক তেমনি লোকাল মার্কেটেও কাজ খুঁজে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এসইও সংক্রান্ত এ পোস্ট আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টিপস এবং অনলাইন ইনকাম রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পরিশেষে সবাইকে জানাই “হ্যাপি লার্নিং”।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url